গাইবান্ধা জেলা সংবাদদাতা : গাইবান্ধা চেম্বার অব কর্মাস এন্ড ইন্ডাষ্ট্রিজ কার্যালয়ে মঙ্গলবার সকালে সাধারণ সভায় ব্যবসায়ীদের দু’গ্রুপের হাতাহাতি এবং সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের ৯ জন আহত হয়েছে। এ ব্যাপারে ব্যবসায়ি পিয়ারুল ইসলাম ২৩ জনের নামসহ আরও অজ্ঞাতনামা মোট ৪৩ জনকে আসামি করে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করে। ওই মামলায় রনি, সোহেল ও দিলশাদসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকেলে জেলা শহরের হকার্স মার্কেট সংলগ্ন পরিচালক খান মো. সাঈদ হোসেন জসিমের বাড়িতে হামলা ও ১ নং ট্রাফিক মোড়ে শ্যামলী কাউন্টার ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। এদিকে শ্যামলী কাউন্টার ভাঙচুর করে মোক্তাদুর রহমান মিঠুর উপর হামলার প্রতিবাদে গাইবান্ধা-পলাশবাড়ী সড়কের শহরের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকায় অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধ করে রাখে বিক্ষুব্ধ পরিবহন শ্রমিকরা। ওইদিন রাত থেকেই বুধবার দুপুর পর্যন্ত সড়ক অবরোধ অব্যাহত থাকে। ফলে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় দুর্ভোগে পড়ে যাত্রী ও সাধারণ মানুষ। চেম্বার অব কমার্স, বাস-ট্রাক, মিনিবাস ও মটর মালিক সমিতির সমন্বয়ে গঠিত ঐক্য পরিষদের ডাকে এই ঘটনার প্রতিবাদে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট অব্যাহত রয়েছে। এছাড়া দোকান মালিক ও কর্মচারি সমিতির ডাকে দুপুর ২টা পর্যন্ত গাইবান্ধা জেলা শহরে আংশিক ধর্মঘট পালিত হয়।
সংঘর্ষের ঘটনায় আহতদের মধ্যে চেম্বার অব কর্মাস এন্ড ইন্ডাষ্ট্রিজের পরিচালক মোক্তাদুর রহমান মিঠু, পরিচালক খান মো. সাঈদ হোসেন জসিম, নুর-এ-হাবীব টিটন, শ্যামলী কাউন্টারের ম্যানেজার সুমন মিয়া, রায়হান মিয়া ও শাহীনের নাম জানা গেছে। আহতদের মধ্যে ৬ জনকে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে রায়হান ও সুমনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম মেহেদী হাসান জানান, খবর পেয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে অবরোধ তুলে নেয়া হলেও এ রিপোট রেখা পর্যন্ত পরিবহন ধর্মঘট চলছে।
নতুন কমিটি গঠনের দাবি-সংবাদ সম্মেলন
গাইবান্ধা চেম্বার অব কমার্সের সাধারণ সভায় বর্তমান সভাপতির নেতৃত্বের নানা অনিয়ম ও নির্বাচিত পরিচালকদের শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে বুধবার গাইবান্ধা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ বর্তমান কমিটি ভেঙ্গে নতুন কমিটি গঠনের দাবি জানানো হয়। চেম্বার অব কমার্সের কতিপয় বর্তমান পরিচালক ও ব্যবসায়িদের পক্ষ থেকে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন চেম্বার অব কমার্সের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান পরিচালক আবুল খায়ের মোরছেলিন, পরিচালক দীলিপ কুমার সাহা, আজাহারুল ইসলাম সঞ্জু, নুর-এ-হাবীব টিটন, তৌহিদুর রহমান, শামিম, সিজু সাহা, সাবেক পরিচালক পিন্টু ভট্টাচার্য প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন