শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

মারাকেশ চুক্তি অনুসমর্থনের মধ্য দিয়ে দৃষ্টি ও পঠন প্রতিবন্ধীদের বাধামুক্ত তথ্য প্রাপ্তির অধিকার নিশ্চিত হলো : সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৫ নভেম্বর, ২০২২, ৭:২৭ পিএম

সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি বলেছেন, বর্তমান প্রতিবন্ধী ব্যক্তি-বান্ধব সরকারের নেতৃত্বে ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে গত ২৬ সেপ্টেম্বর ১১৬তম দেশ হিসেবে বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে মারাকেশ চুক্তিতে অনুসমর্থন করেছে। এ চুক্তিতে অনুসমর্থনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের সকল দৃষ্টি ও পঠন প্রতিবন্ধীদের বাধামুক্ত তথ্য প্রাপ্তির অধিকার নিশ্চিত হয়েছে।

তিনি বলেন, চুক্তিটির ফলে সম্পূর্ণ দৃষ্টিশক্তিহীন ব্যক্তি, ক্ষীণ দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ব্যক্তি এবং কোনো না কোনোভাবে পড়তে অক্ষম এমন ব্যক্তির জন্য ব্রেইল, অডিও অথবা বড় হরফে বই এবং দলিলাদি মুদ্রণ করা যাবে। এক্ষেত্রে লেখকের অনুমতির প্রয়োজন হবে না। তবে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বাণিজ্যিকভাবে এ কাজ করতে পারবে না।

প্রতিমন্ত্রী আজ দুপুরে রাজধানীর বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো মিলনায়তনে 'ভিজুয়ালি ইম্পেয়ার্ড পিপলস সোসাইটি (ভিপস)' ও 'মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন (এমজেএফ)' আয়োজিত 'বাংলাদেশের ১১৬তম দেশ হিসেবে মারাকেশ চুক্তি অনুসমর্থন উদযাপন এবং এর জন্য পরবর্তী করণীয়' শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে 'গেস্ট অব অনার' হিসেবে বক্তৃতা করেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও কলামিস্ট ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবাল। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মো. আনোয়ার উল্যাহ, বাংলাদেশ কপিরাইট অফিসের রেজিস্ট্রার ও যুগ্মসচিব মো. দাউদ মিয়া এনডিসি, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন এর নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম এবং ভিজুয়াল ইম্পেয়ার্ড পিপলস সোসাইটি (ভিপস) এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মনসুর আহমেদ চৌধুরী।

প্রধান অতিথি আরও বলেন, 'কপিরাইট আইন ২০২২' বহুমাত্রিক ও বহু অংশীজনের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট একটি আইন। ২৮টি মন্ত্রণালয়ের মতামত সন্নিবেশিত করে একটি আধুনিক ও যুগোপযোগী আইন হিসেবে এটি প্রণীত হতে যাচ্ছে। অতিদ্রুত আইনটি বিল আকারে পাসের লক্ষ্যে জাতীয় সংসদে উত্থাপন করা হবে। সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, কপিরাইট আইন পাসের মাধ্যমে মারাকেশ চুক্তির যথাযথ বাস্তবায়ন হবে মর্মে আমি মনে করি। আইনটির ৫১ ধারা ও ৭০(২) উপধারায় এ সংক্রান্ত অনুচ্ছেদ সন্নিবেশিত হয়েছে। কে এম খালিদ বলেন, বর্তমান সরকার প্রতিবন্ধীসহ সকল জনগোষ্ঠীর সুষম ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের সুবিধার্থে গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের বেগম সুফিয়া কামাল জাতীয় গ্রন্থাগারে 'ব্রেইল কর্নার' চালু করা হয়েছে। তিনি বলেন, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন '১০০০টি গ্রন্থাগারে মুজিব কর্নার স্থাপন' প্রকল্পে ব্রেইল বই যুক্ত করার ব্যবস্থা নেয়া হবে। তাছাড়া মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ব্রেইল বই প্রকাশনায়ও প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করা হবে।

সেমিনারে 'এসডিজি অর্জন ও দৃষ্টি প্রতিবন্ধী মানুষের বই পড়ার অধিকার নিশ্চিতকরণে মারাকেশ ট্রিটি অনুসমর্থনের প্রয়োজনীয়তা: প্রেক্ষিত বাংলাদেশ' শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের Aspire to Innovate (এটুআই) প্রোগ্রামের ন্যাশনাল কনসালটেন্ট ভাস্কর ভট্টাচার্য। মূল প্রবন্ধের উপর আলোচনা করেন বিশিষ্ট কপিরাইট বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ কপিরাইট অফিসের সাবেক রেজিস্ট্রার জাফর রাজা চৌধুরী। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন 'ভিজুয়ালি ইম্পেয়ার্ড পিপলস সোসাইটি (ভিপস)' এর সভাপতি নাসরিন হক। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বক্তৃতা করেন 'মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন (এমজেএফ)' এর সমন্বয়কারী নাজরানা ইয়াসমিন।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন