মরুর দেশ কাতারে প্রথমবারের মতো বসতে চলেছে বিশ্বকাপ। অথচ ফুটবলের সবচেয়ে মর্যাদার এই আসরের প্রাক্কালে সেখানকার মানবাধিকার পরিস্থিতিসহ মাঠের বাইরের বিভিন্ন বিষয় নিয়েই বিতর্ক হচ্ছে বেশি। প্রতিবাদে মুখর হয়েছে বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী অনেক দল। তবে রাজনৈতিক ও আদর্শগত দ্বন্দ বাদ দিয়ে তাদেরকে এবার মাঠের ফুটবলে মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানাল ফিফা।
কঠোর ইসলামিক আইনে পরিচালিত মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে সমকামিতা একেবারেই নিষিদ্ধ। কাতারের আইন অনুযায়ী, সেখানে সমকামিতার সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। এছাড়া প্রবাসী শ্রমিকদের প্রতি অন্যায় আচরণ ও নানা মানবাধিকার ইস্যুতে বারবারই প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে কাতার। বিশ্বকাপের আগে এই বিষয়গুলো নিয়েই চলছে সমালোচনার ঝড়। ইতোমধ্যে ডেনমার্ক ও অস্ট্রেলিয়া নিয়েছে প্রতিবাদী সিদ্ধান্ত। তাছাড়া, বিশ্বকাপে যখন চলবে, তখন মাঠেই প্রতিবাদ জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ইউরোপের অনেক ফুটবলার।
এসব জায়গাতেই আপত্তি ফিফার। বিশ্বকাপে অংশ নিতে যাওয়া ৩২টি দেশের ফেডারেশনকে চিঠি পাঠিয়ে ফুটবলকে রাজনৈতিক ও আদর্শগত দ্বন্দ্বের মধ্যে টেনে না আনার অনুরোধ জানিয়েছে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। সেই চিঠির কিছু অংশ গতপরশু প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম স্কাই নিউজ। সেখানে বলা হয়েছে, ‘দয়া করে, আমরা এবার ফুটবলে মনোযোগী হই! আমরা জানি, ফুটবল কোনো শূন্যস্থানে বাস করে না এবং বিশ্বজুড়ে রাজনৈতিক প্রকৃতির অনেক অসুবিধা ও চ্যালেঞ্জ থাকে যা সম্পর্কে আমরা অবগত। তবে দয়া করে, সব রাজনৈতিক অথবা আদর্শগত দ্বন্দ্বে ফুটবলকে টেনে আনবেন না।’
বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই বিষয়ে ফিফার সঙ্গে যোগাযোগ করলেও তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া পায়নি। আগামী ২০ নভেম্বর মাঠে গড়াবে ২০২২ ফুটবল বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচ। পরদিনই ভিন্ন দুই ম্যাচে মাঠে নামবে ইউরোপের দুই দেশ ইংল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডস। ফিফার অনুরোধ কতটুকু তারা আমলে নেয় সেটাই এখন দেখার।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন