বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

ঘোড়াঘাটের সাবেক ইউএন ও তার বাবাকে হত্যা চেষ্টা মামলায় মালির ১৩ বছরের কারাদণ্ড

দিনাজপুর অফিস | প্রকাশের সময় : ৮ নভেম্বর, ২০২২, ১১:২৫ এএম | আপডেট : ২:৪৩ পিএম, ৮ নভেম্বর, ২০২২

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার সাবেক ইউএনও ওয়াহিদা খানম ও তার বাবাকে হত্যা চেষ্টা মামলায় রায়ে একমাত্র আসামী রবিউল ইসলামকে দুটি ধারায় মোট ১৩ বছরের সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে। দিনাজপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা-৩ এর বিচারক সাদিয়া সুলতানা প্রদত্ত রায়ে দুটি ধারায় মোট ১৩ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৮ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন। ইতিপূর্বে উচ্চ আদালতের জামিনে থাকা আসামী আজ আদালতে হাজির হলে রায়ের তাকে দিনাজপুর জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলার বিবরন মতে, ২০২০ সালের ২ সেপ্টেম্বও রাতে ঘোড়াঘাট উপজেলা চত্বরের সরকারী বাসভবনে দূর্বত্তরা ইউএনও’র শয়নকক্ষে ঢুকে হামলা চালায়। এসময় হাতুরী দিয়ে ইউএনও’র মাথায় আঘাত বিভিন্নভাবে জখম করা হয়। পার্শ্বে ঘরে থাকা বাবা ওমর আলী চিৎকার শুনে এগিয়ে আসলে হামলাকারী তার উপরও হামলা চালায়। খবর পেয়ে পুলিশ, স্থানীয় সাংবাদিক ও সাধারন মানুষ ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। ইউএনও ও তার বাবাকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। পরে এয়ার এ্যাম্বুল্যান্সে ঢাকার জাতীয় নিউরো সায়েন্স হাসপাতালে নেওয়া হয়। ৩ তারিখে ইউএনও’র ভাই পুলিশ পরিদর্শক শেখ ফরিদ বাদি হয়ে ঘোড়াঘাট থানায় মামলা দায়ের করে। মামলা নং -২ তারিখ ০৩-০৯-২০২২ ঘটনার পর র‌্যাব-১৩ তৎপরতা শুরু করে এবং সন্দেহভাজন কয়েকজনকে আটক করে। এসময় হামলাকারী হিসাবে একজনকে আটকের কথায় বলা হয়। পরবর্তীতে দিনাজপুর ডিবি পুলিশ মামলার তদন্তের দায়িত্ব নিয়ে আরো কয়েকজনকে আটক করে। দীর্ঘ ৭ দিন পর পুলিশ দিনাজপুর বিরল উপজেলার বাসিন্দা সাময়িকভাবে বরখাস্ত উপজেলা পরিষদের মালি রবিউল ইসলামকে আটক করে। পর পর তিন দফায় রিমান্ডের পর সে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করে। পরে তার বিরুদ্ধে ৪৫৭, ৩২৩,৩২৫,৩২৬,৩০৭,৩৮০,২০১ ও ৫০৬(২) ধারায় চার্জশিট দাখিল দেয়া হয়।
মামলায় মোট ৫৪ জন স্বাক্ষির মধ্যে ৫১ জন স্বাক্ষ প্রদান করেন। স্বাক্ষি শেষে মামলাটি চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত থেকে দিনাজপুরের দায়রা জজ আদালতে প্রেরন করা হয়। বিচারক বদলিজ্বনিত কারনে দু’বার রায়ের তারিখ পরিবর্তন করা হয়। নুতন বিচারক হিসাবে যোগদান করে নুতনভাবে যুক্তিতর্ক গ্রহন করে মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) রায়ের দিন ধার্য করেন। রায়ে ৩০৭ ধারায় ১০ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৬ মাসের বিনাশ্রম এবং পেনাল কোড ৩২৫ ধারায় ৩ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ৩ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ২ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেন। বাকি ধারাগুলি প্রমানিত না হওয়ায় সবগুলিতে খালাস দেয়া হয়।
মামলার রায়ে পিপি রবিউল ইসলাম এই রায়ে সন্তুষ্ট প্রকাশ করে বলেন অন্যায় করে কেউ পার পায় না আজকের রায় তারই প্রমান। অপরদিকে আসামীপক্ষের আইনজীবি আবদুস সামাদ-১ অসন্তষ্টি প্রকাশ করে বলেন, গ্রেফতারের পর তিন বার রিমান্ডে নিয়ে মারধোরের মাধ্যমে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিতে বাধ্য করা হয় আমার আসামীকে। আমরা উচ্চ আদালতে যাব এবং সেখান থেকে ন্যায় বিচার পেয়ে খালাস পাব।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন