রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

খেলাধুলা

‘বন্ধুত্বের চেয়ে পেশাদারিত্বই বড় ’

প্রকাশের সময় : ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্পোর্টস ডেস্ক : কর্মক্ষেত্রে পেশাদারিত্বের গুরুত্ব অস্বীকার করার কোন উপায় নেই। কিন্তু তার সাথে যদি যোগ হয় সহকর্মীদের সাথে ভালো বোঝাপড়া, সৌহার্দ্যপূর্ণ আচরণ ও আত্মত্যাগের মানসিকতা তাহলে কাজটা অরো শৈল্পিক হতে বাধ্য। ঠিক যে কাজটি ফুটবল মাঠে করে চলেছেন ‘এমএসএন’ খ্যাত বার্সার আক্রমণ ত্রয়ী লিওনেল মেসি, লুইস সুয়ারেজ ও নেইমার জুনিয়র। এর সুফলটাও ভোগ করছে বার্সেলোনা। কিন্তু ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর দৃষ্টিতে যে বন্ধুত্বের চেয়ে পেশাদারি সম্পর্কের গুরুত্বটাই বেশি!
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচ খেলতে রোনালদোর রিয়াল মাদ্রিদ এখন ইতালিতে। গত রাতে শেষ ষোলর লড়াইয়ে তাদের প্রতিপক্ষ ছিল রোমা। ফুটবল ভক্ত হলে ম্যাচের ফলও নিশ্চয় জেনে গেছেন ইতোমধ্যেই। কিন্তু ম্যাচ-পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে রিয়াল তারকা যা বললেন তাতে চোখ কপালে উঠতে পারে যে কারো। বর্তমানে ফুটবলের সবচেয়ে আলোচিত বিষয় সেল্টা ডি ভিগোর বিপক্ষে মেসির পেনাল্টি এসিস্ট। যেটাকে শতাব্দীর সেরা পেনাল্টিও বলছেন অনেকে। যেখানে ব্যক্তিগত স্বার্থকে উপেক্ষা করে ফুটে উঠেছে বন্ধুত্বের এক অপূর্ব নিদর্শন। এছাড়াও মাঠের বাইরে ‘এমএসএন’ ত্রয়ীর সম্পর্কের কথাও সবার জানা। তবে এমন পেশাদারির প্রশ্নে এমন বন্ধুত্বের কোন দরকার নেই বলে জানালেন রোনালদো। সংবাদ সম্মেলনে খোলাখুলিভাবেই বললেন, তাঁর কাছে মনে হয় না মাঠের বাইরেও সতীর্থদের সঙ্গে গলাগলি করতে হবে। উদাহরণ হিসেবে ম্যানচেস্টারের পুরোনো স্মৃতিগুলো তুলে ধরেন সিআর-৭Ñ ‘আমি যখন ইউনাইটেডে ছিলাম তখন গিগস, স্কলেস, ফার্ডিন্যান্ড কারো সাথে কথা বলতাম না, শুধুই ‘হাই হ্যালো’ ছাড়া। তা সত্ত্বেও আমরা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছিলাম (২০০৮)।’  ৩১ বছর বয়সী আরো বলেন- ‘বেনজেমার অথবা বেলের সাথে আমাকে খেতে যাওয়া কিংবা ওদেরকে বাড়িতে ডেকে আনতে হবে, এটা গুরুত্বপূর্ণ না। মাঠে আমাদের সম্পর্কটা কেমন এটাই গুরুত্বপূর্ণ। সামান্য খাবার, জড়িয়ে ধরে আলতো চুমু খাওয়া এসবের কোন দরকার আমি দেখি না।’
মৌসুমে ৩০ ম্যাচে ৩২টি গোল রোনালদোর। তা সত্ত্বেও দলের প্রয়োজনে অথবা বড় দলের বিপক্ষে গোল করতে না পারায় সমালোচনা কম শুনতে হচ্ছে না তাকে। এমন প্রশ্নে রীতিমত চটে যান বার্নাব্যু তারকাÑ ‘আমার চেয়ে কে বেশি গোল করেছে বলুন তো। এটা গণমাধ্যমের তৈরি। এসব আমি স্বাভাবিকভাবেই নিই। খারাপই যদি খেলি তাহলে মৌসুমের বাকি সময়টাও যেন এভাবে খেলে যেতে পারি, এটাই আমার ইচ্ছা।’ মেসির পেনাল্টি এসিস্ট সম্পর্কে জানতে চাইলে রিয়ালের সর্বোচ্চ গোলদাতা বলেনÑ ‘আমি জানি এটা সে কেন করেছে কিন্তু এর চেয়ে বেশি কিছু আমি বলতে চাচ্ছি না। আপনার যা ইচ্ছা তাই ভেবে নিতে পারেন।’

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন