সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১১ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

ব্যবসা বাণিজ্য

প্যাকেজিং-প্রিন্টিং খাতে ১৫ বিলিয়ন ডলার রপ্তানির সম্ভাবনা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১২ নভেম্বর, ২০২২, ৮:২৬ পিএম

বিশ্বব্যাপী প্যাকেজিং, প্রিন্টিং এবং প্রকাশনা খাতের সম্মিলিত বাজার প্রায় এক হাজার ৫৪৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর ১ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারলে এ খাতের রপ্তানি ছাড়াবে ১৫ বিলিয়ন ডলার। বিশাল এ বাজার ধরতে সরকারি-বেসরকারি বিনিয়োগসহ আন্তর্জাতিক বাজার অনুসন্ধানে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছেন প্রিন্টিং খাতের ব্যবসায়ীরা।

শনিবার (১২ নভেম্বর) এফবিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়। এর আগে এফবিসিসিআই কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত প্রিন্টিং, প্যাকেজিং অ্যান্ড পাবলিকেশন বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির প্রথম সভায় এ সহযোগিতা চাওয়া হয়। সভায় বিশ্বব্যাপী প্যাকেজিং, প্রিন্টিং এবং প্রকাশনা খাতের সম্ভাবনা নিয়ে একটি প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন কমিটির সদস্য সুচয় আমিন। তিনি জানান, বিশ্বব্যাপী প্যাকেজিং, প্রিন্টিং এবং প্রকাশনা খাতের সম্মিলিত বাজার প্রায় এক হাজার ৫৪৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যার ১ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা গেলেও সম্ভাব্য রপ্তানির পরিমাণ হবে ১৫.৪৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

সরকারি-বেসরকারি বিনিয়োগ সহায়তার মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের পাশাপাশি বিপুল কর্মসংস্থান সৃষ্টির সুযোগ রয়েছে বলেও জানান তিনি। এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্যাকেজিংয়ের ব্যবহার বাড়ছে; ভবিষ্যতে আরো বাড়বে। ইউরোপ আমেরিকাতে প্রায় ৮০ শতাংশ খাদ্যই প্রক্রিয়াজাত, দেশেও এর পরিমাণ ২০ শতাংশের কাছাকাছি। এর মাধ্যমেই এ খাতের ব্যাপক সম্ভাবনা স্পষ্ট। বিপুল সম্ভাবনার এ বাজার ধরতে সরকারি সহায়তার পাশাপাশি রপ্তানি বৈচিত্রকরণ, শিল্পকারখানার কমপ্লায়ান্সসহ আন্তর্জাতিকমানের পণ্য তৈরি করতে ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

এফবিসিসিআইর সহ-সভাপতি ও কমিটির ডিরেক্টর ইনচার্জ মো. আমিন হেলালী বলেন, দেশে প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ প্রকাশনা হয়ে থাকে। উৎপাদন খরচ বাড়ায় মানসম্মত প্যাকেজিং বাধাগ্রস্ত হচ্ছে যা ইন্ডাস্ট্রিগুলোর জন্য হুমকিস্বরূপ। প্যাকেজিং শিল্পের প্রসার ও বিপুল রপ্তানি সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে সরকারের নীতিসহায়তাসহ সরকারি বেসরকারি জোড়ালো সমন্বয়ের আহ্বান জানান তিনি।

সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিটির চেয়ারম্যান ও টাম্পাকো গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুস সামি আলমগীর। প্যাকেজিং খাতের রপ্তানি সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে আন্তর্জাতিক বাজার অনুসন্ধানসহ প্রয়োজনীয় নীতি সহায়তা চান তিনি। সভায় উপস্থিত ছিলেন রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর মহাপরিচালক মাহবুবুর রহমান। প্রিন্টিং প্যাকেজিং খাতের আন্তর্জাতিক বিশাল বাজার ধরতে এ খাতে বিনিয়োগ বাড়ানো প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি। এছাড়া এ খাতের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ইন্ডাস্ট্রি বেজ সিলেবাস তৈরির পরামর্শ দেন তিনি।

বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের উপপ্রধান মো. মাহমুদুল হাসান জানান, স্থায়ী ও টেকসই নীতিমালার জন্য গবেষণাভিক্তিক প্রতিবেদন তৈরিতে ট্যারিফ কমিশন কাজ করে। এজন্য বাজেট পরবর্তী সময়েই প্রস্তাবনা জমা দেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। এফবিসিসিআইর সহ-সভাপতি সালাউদ্দিন আলমগীর, পরিচালক মোহাম্মদ আনোয়ার সাদাত সরকার, বিজয় কুমার কেজরিওয়াল, হাফেজ হারুন, ইকবাল শাহরিয়ার, আক্কাস মাহমুদ, কমিটির কো-চেয়ারম্যান মো. মুস্তাফিজুর রহমান, শামিম আহমেদ, সরকার মো. সালাউদ্দিন, মোহাম্মদ নেওয়াজ ও কমিটির অন্যান্য সদস্যরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন