পাঠ্যপুস্তক থেকে হিন্দুত্ব ও নাস্তিক্যবাদ সম্বলিত সব কিছুই বাদ দিতে হবে। শিক্ষা কারিকুলামে ডারউইনের বিবর্তনবাদ ও হিন্দুত্ববাদের অনুপ্রবেশ মুসলিম ঐতিহ্য ধ্বংশের নীল নকশা ছাড়া ভিন্ন কিছু নয়। জমিয়াতুল মোদারের্ছীনের প্রস্তাবিত ১৩ দফা দাবি অবিলম্বে মেনে নিন। আজ বিভিন্ন ইসলামী দলের নেতৃবৃন্দ পৃথক পৃথক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন।
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ ঃ জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সভাপতি আল্লামা শায়খ যিয়া উদ্দীন ও মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী দেশের স্কুল,কলেজ ও মাদরাসার সিলেবাসে ভিনদেশী আগ্রাসনের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, মুসলিম দেশের শিক্ষা কারিকুলামে ডারউইনের বিবর্তনবাদ ও হিন্দুত্ববাদের অনুপ্রবেশ মুসলিম ঐতিহ্য ধ্বংসের নীল নকশা ছাড়া ভিন্ন কিছু নয়। এ বিষয়ে সোচ্চার হওয়া সব মুসলমানেরই ঈমানী দায়িত্ব। নেতৃদ্বয় আরো বলেছেন, ইসলামী কৃষ্টি-সভ্যতায় বেড়ে উঠা মুসলিম পরিবারের শিক্ষার্থীদেরকে পরিকল্পিত ভাবে ইসলামবিরোধী বানানোর এই অপচেষ্টা সরকারকে এখনই বন্ধ করতে হবে এবং পাঠ্যপুস্তক থেকে হিন্দুত্ব ও নাস্তিক্যবাদসম্বলিত সব কিছুই বাদ দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে সময় ক্ষেপণ করার কোন সুযোগ নেই। আজ এক বিবৃতিতে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সভাপতি ও মহাসচিব এ সব কথা বলেছেন।
ইসলামী ঐক্যজোট ঃ ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির সভাপতি সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মাওলানা আব্দুর রকিব এক বিবৃতিতে বলেছেন, ৯২ভাগ মুসলমানের বাংলাদেশে ইসলাম বিরোধী কোনো শিক্ষা ব্যবস্থা চালু এবং ধর্মীয় শিক্ষা সঙ্কোচনের চক্রান্ত বরদাশত করা হবে না। ইসলামী শিক্ষার স্বকীয়তা বজায় রেখেই মাদরাসার পাঠ্যক্রম চালু রাখতে হবে। ইসলামী শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে কোনো ষড়যন্ত্রের পরিণাম শুভ হবে না। শিক্ষার সর্বস্তরে ইসলামী শিক্ষা বাধ্যতামূলক করতে হবে। তিনি মাদরাসা শিক্ষা সম্প্রসারণে জমিয়াতুল মোদারের্ছীনের ঘোষিত ১৩ দফা দাবি অনতিবিলম্বে মেনে নেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
ইসলামী যুব সমাজ ঃ এদিকে, পাঠ্যপুস্তকে হিন্দুত্ব্যবাদের ভারতীয় এজেন্ডা বাস্তবায়নের গভীর চক্রান্ত থেকে মাদরাসা শিক্ষাকে রক্ষা করতে জমিয়াতুল মোদারের্ছীনের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করেছে নেজামে ইসলাম পার্টির অঙ্গ সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী যুব সমাজ। আজ বুধবার বিকেল তিন টায় পুরানা পল্টনস্থ খতীবে আজম (রহ.) মিলনায়তনে সংগঠনের মতবিনিময় সভায় যুব নেতৃবৃন্দ বলেন, মাদরাসা শিক্ষা হচ্ছে ইসলাম ধর্মীয় শিক্ষা সংস্কৃতির সূতিকাগার। এখানে হিন্দুত্ববাদের ইসলাম বিদ্বেষী রচনা অশ্লীল আপত্তিকর ছবি জনগণ কখনও মেনে নিবে না। মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের মহাসচিব মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মাসউদ খান। মুফতী দ্বীনে আলম হারুনীর সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি ছিলেন নেজামে ইসলাম ঢাকা মহানগর এর আমীর প্রিন্সিপাল মাওলানা আবু তাহের খান। এতে আরো বক্তব্য রাখেন, মাওলানা আতিকুর রহমান সিদ্দিকী, মাওলানা এহতেশামুল হক সাখী, যুবনেতা মাওলানা ইলিয়াস হোসাইনী, মাওলানা মুহিবুল হাসান, মাওলানা ইমদাদুল্লাহ সাকী বান্দা ইমদাদুল্লাহ, ছাত্র নেতা আল মামুন ইসমাইল হোসেন ও সহিদুল ইসলাম শাহীন। প্রিন্সিপাল আবু তাহের খান বলেন, ধর্মহীন নাস্তিক্যবাদী শিক্ষাকে প্রতিহত করতে প্রয়োজনে যুগপৎ আন্দোলন করে দাবি আদায় করা হবে। আব্দুল্লাহ আল মাসউদ খান বলেন, শিক্ষা কারিকুলামে ভারতীয় এজেন্ডা বাস্তবায়নের গভীর চক্রান্ত রুখে দাঁড়ানো এখন সময়েই দাবি। শিক্ষা বোর্ডের গুরুত্বপূর্ণ পদ সমূহের ব্যাপক হিন্দু পদায়ন আজ শিক্ষা ব্যাবস্থাকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। এটা বন্ধ করতে হবে। নেতৃবৃন্দ জমিয়াতুল মোদারের্ছীনের প্রস্তাবিত ১৩ দফা দ্রুত বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ এবং মাদরাসা শিক্ষার জন্য স্বতন্ত্র সিলেবাস প্রণয়ন করার জোর দাবি জানান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন