যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডোয় এক বন্দুকধারীর গুলিতে ৫ জনের প্রাণহানি ঘটে। আহত হয়েছেন আরও ২৫ জন। শনিবার (২০ নভেম্বর) কলোরাডোর এলজিবিটিকিউ ক্লাবে হামলায় এ ঘটনা ঘটে। কেন এই হামলা? পুলিশ জানিয়েছে, কেন এই হামলা হলো, তা তারা তদন্ত করে দেখছে।
দেখা হচ্ছে, ঘৃণাই এই হামলার কারণ কি না। ক্লাবের দুই প্যাট্রন বন্দুকধারীকে ধরে ফেলেন। তারপর পুলিশ সেখানে গিয়ে পৌঁছায় এবং তারা বন্দুকধারীকে নিয়ে এখন জেরা করছে।
পুলিশ জানিয়েছে, বন্দুকধারীর সঙ্গে প্রচুর গুলি ছিল। ঘটনাস্থল থেকে বড় বন্দুক ছাড়াও আরো আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। কলোরাডোর ক্লাব কিউ-তে এই ঘটনা ঘটেছে।
এই ক্লাবটিতে গে ও লেসবিয়ানদের জন্য বিভিন্ন ইভেন্টের আয়োজন করা হয়। প্রতি বছর ২০ নভেম্বর তৃতীয় লিঙ্গের যে সব মানুষ সহিংসতার শিকার হয়েছেন তাদের স্মরণে দিনটি পালিত হয়।
বন্দুকধারীর পরিচয় পুলিশ জানিয়েছে, বন্দুকধারীর বয়স ২২ বছর। সে ক্লাবে ঢুকেই বন্দুক থেকে গুলি চালাতে শুরু করে। ক্লাবের দুই অসমসাহসী মানুষ তাকে ধরে ফেলে। তারই বন্দুকধারীকে বেঁধে ফেলে। তার ফলে সে আর গুলি চালাতে পারেনি। তবে তার মধ্যেই সে পাঁচজনকে হত্যা করেছে। ২৫ জন আহতের মধ্যে বেশ কয়েকজন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন।
ফ্লোরিডার ঘটনা ২০১৬ সালে ফ্লোরিডায় সমকামীদের ক্লাবে বন্দুকধারীর হামলায় ৪৯ জন মারা গেছিলেন। সেসময় আহত হন ৫০ জন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন