শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ব্যবসা বাণিজ্য

ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ ৭০ বিলিয়ন আয়ের সম্ভাবনা-ডিসিসিআই

| প্রকাশের সময় : ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : পোশাক শিল্পের ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ থেকে ৭০ বিলিয়ন ডলার আয়ের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি হোসেইন খালেদ। শনিবার রাজধানীর ডিসিসিআইয়ের নিজস্ব কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান। হোসেইন খালেদ বলেন, ২০৪১ সালে পোশাক শিল্পের রপ্তানি আয় ১৩৫ বিলিয়ন ডলার করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ শিল্পে প্রায় সব কাঁচামাল আমাদনি করা হয়। পোশাক শিল্পের ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজের উন্নয়ন করা হলে এ খাতে আয়ের সম্ভাবনা রয়েছে প্রায় ৭০ বিলিয়ন ডলার। ইতিমধ্যে ৬ বিলিয়ন ডলার আয় হচ্ছে এ খাত থেকে।
হোসেইন খালেদ বলেন, ২০৪১ সালে দেশকে উন্নত দেশে এগিয়ে নিতে আমরা কাজ করছি। ২০২১ সাল থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে আমরা উচ্চমধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হতে পারবো বলে আশা করছি। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়ছি। অবকাঠামোগত নানা দুর্বলতার কারণে প্রতি বছর জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে ২ শতাংশ থেকে আড়াই শতাংশ পিছিয়ে পড়ছি।
ডিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ২১ ডিসেম্বর রাজধানীর হোটেল রেডিসনে ‘নিউ ইকোনোমিক থিংকিং: বাংলাদেশ ২০৩০ অ্যান্ড বিয়ন্ড’ শীর্ষক এক সেমিনারের আয়োজন করা হচ্ছে। এর উদ্বোধন করার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। দিনব্যাপী এ সেমিনারে আরো উপস্থিত থাকবেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ প্রমুখ।
ডিসিসিআই সভাপতি হোসেইন খালেদ সেমিনারের বিষয়ে আরো বলেন, এদিন ৫টি সেশনে দিনব্যাপী আলোচনা হবে। এতে ৫৫ জন বক্তা বক্তব্য রাখবেন। এর মধ্যে ১৫ জন আসবেন দেশের বাইরে থেকে। এক্ষেত্রে ২০৪১ সালের লক্ষমাত্রা অর্জনকে মাথায় রেখে আমাদের কী করণীয় আছে তা নিয়ে আলোচনা করা হবে। দিনব্যাপী আলোচনা থেকে যে আউটকাম হবে, তা পরবর্তী সময়ে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করা হবে।
সেক্টরভিত্তিক ট্রেড ইউনিয়নের সুযোগ দেবে সরকার
ইনকিলাব ডেস্ক : শ্রমিকদের সমস্যা নিয়ে আলোচনার সুযোগ বাড়াতে তাদের নিয়ে সেক্টরভিত্তিক ট্রেড ইউনিয়ন করার সুযোগ দিতে চায় সরকার। সচিবালয়ে সম্প্রতি বাংলাদেশে নিযুক্ত ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত মিকাইল হেমনিটি উইনথারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের পর শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। তিনি বলেন, “পৃথিবীর অনেক দেশে সেক্টরভিত্তিক ট্রেড ইউনিয়ন আছে, আমাদের দেশে ফ্যাক্টরি টু ফ্যাক্টরি। এজন্য অনেক সময় কাজের প্রবলেম হয়। সেক্টরের যদি ট্রেড ইউনিয়ন থাকে তবে সেক্টরের দাবি-দাওয়া নিয়ে আলোচনা করার সুযোগ হয়।”
এ বিষয়ে ডেনমার্কের অভিজ্ঞতা জানতে সম্প্রতি সে দেশ সফর করেন শ্রম মন্ত্রণালয়ের সচিব, যুগ্ম সচিবসহ কয়েকজন কর্মকর্তা। তারা ফিরে এসে একটি প্রতিবেদন দিয়েছেন বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
বর্তমানে দেশে একটি কারখানায় একটি ট্রেড ইউনিয়ন থাকার প্রসঙ্গে টেনে চুন্নু বলেন, “তারা শুধু ওই ইন্ডাস্ট্রির প্রবলেমের কথা বলছেন। কিন্তু ওই সেক্টরে তো ওভারঅল অনেক প্রবলেম আছে। সেক্টরভিত্তিক তো কেউ আলোচনা করার সুযোগ পাচ্ছে না। সেক্টরভিত্তিক যদি কিছু করা যায় আমার মনে হয় তা ভালো হবে।”
তথ্য অনুযায়ী, ২০১৪ সালে দেশে নিবন্ধিত ট্রেড ইউনিয়নের সংখ্যা ছিল প্রায় সাড়ে সাত হাজারের মতো। এসব ট্রেড ইউনিয়নের সদস্য সংখ্যা ২৩ লাখের বেশি। শ্রম প্রতিমন্ত্রী জানান, ডেনমার্কের সঙ্গে বাংলাদেশের ‘সোশ্যাল ডায়ালগের’ একটি চুক্তি রয়েছে। বাংলাদেশে ট্রেড ইউনিয়ন জোরদার করার বিষয়েও ডেনমার্ক কারিগরি সহযেগিতা দিচ্ছে।
“ফ্যাক্টরি পরিদর্শনে তাদের সিস্টেমটা কি তা জানলাম, আমাদের সিস্টেমটা তাদের বললাম। আমরা যদি অকুপেশন হেলথ অ্যান্ড সেফটি নিয়ে ট্রেইনিং সেন্টার করতে চাই ডেনমার্ক আমাদের টেকনিক্যালি হেল্প করতে পারবে বলে জানিয়েছে।”
কারখানার নিরাপত্তার জন্য বাংলাদেশ কোনো উদ্যোগ নিলে তাতেও ডেনমার্ক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী। সরকারের উদ্যোগে এ পর্যন্ত ৩ হাজার ৭০০টি কারখানা সরেজমিনে পরিদর্শন করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “কিছু কারখানা রেডমার্ক করে বন্ধ করে দিয়েছি। অনেকগুলোকে সময় বেঁধে দিয়ে সংস্কার করতে বলেছি। আমাদের নির্দেশনায় সংস্কার কাজটা একটু স্লো হচ্ছে, তবে হচ্ছে। খুব বেশি দিন বোধ হয় আর লাগবে না।” বর্তমানে অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্সের হাতে কারখানার পরিদর্শন ও সংস্কারের বিষয়টি থাকলেও ২০১৮ সালে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সেই দায়িত্ব নেবে বলে শ্রম প্রতিমন্ত্রী জানান। ওয়েবসাইট

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন