বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

প্রাণীদের খাবারে ৫০-৮০ শতাংশ সাশ্রয় হচ্ছে

তিস্তার চরে কাবিরি ও লাট সাহেব ভুট্টার বাম্পার ফলন

হাফিজুর রহমান সেলিম, উলিপুর (কুড়িগ্রাম) থেকে | প্রকাশের সময় : ২ ডিসেম্বর, ২০২২, ১২:১৪ এএম


তিস্তায় ভেসে উঠা চরের যেদিকে চোখঝ যায় শুধুই সবুজ আর সবুজ। এবার গো-খাদ্যের জন্য আগাম জাতের ভুট্টার বাম্পার ফলন হয়েছে। চর জুড়ে দৃষ্টিনন্দন ভুট্টার ফলন নজর কেড়েছে সবার। এমন দৃশ্যৗ কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলায় তিস্তার চরে। মাত্র ৯০ দিনে আগাম জাতের ফলন হওয়ায় ব্যক্তিগত প্রচেষ্টায় প্রায় ৫০ একর জমিতে ভুট্টার চারা রোপণ করা হয়েছে।
উপজেলার থেতরাই ইউনিয়নের জুয়ানসাঁতরা এলাকার তিস্তার চরে প্রায় ৫০ একর জমিতে আগাম জাতের লাট সাহেব-৫৫ এবং কাবিরি-৫০ ভুট্টা চাষ হয়েছে। আর ফলনও হয়েছে বাম্পার। ভুট্টার ক্ষেত তদারকির দায়িত্বে থাকা আসাদুল ইসলাম বলেন, এ জাতের ভুট্টা মাত্র ৯০ দিনের মধ্যে সাইলেজের (সবুজ ঘাসের পুষ্টিমান অক্ষুন্ন রেখে একটি নির্দিষ্ট অমøতায় বা ক্ষারত্বে সংরক্ষিত ঘাস) জন্য উপযোগী হয়ে উঠে।

ভুট্টার সাইলেজে বেশি পরিমাণে প্রোটিন থাকায় গরু, মহিষ, ছাগল ও ভেড়া ছাড়াও অন্যান্য প্রাণীদের দানাদার খাবার প্রায় ৫০ থেকে ৮০ শতাংশ সাশ্রয় হয়। ভুট্টার সাইলেজ গো-খাদ্যের জন্য উপযোগী করে তৈরি করা হয়। যা এক থেকে দেড় বছর পর্যন্ত সংরক্ষণ করে রাখা যায়।

তিনি আরও জানান, তিস্তার চরে প্রতিদিন ৪০ থেকে ৫৫ জন শ্রমিক ভুট্টার জন্য কাজ করে। ভুট্টা চাষের উদ্যোক্তা মনিরুল ইসলাম মানিক বলেন, তিস্তা নদীর জেগে উঠা চরে ব্যক্তিগত প্রচেষ্টায় প্রায় ৫০ একর জমির উপর গো-খাদ্যের জন্য আগাম জাতের এই ভুট্টা চাষ করা হয়েছে। এর উদ্দেশ্য পুষ্টি যুক্ত গো-খাদ্য সাইলেজ তৈরি করা।
তিনি আরো জানান, ভুট্টা রোপন থেকে শুরু করে ঘরে তোলা পর্যন্ত ৪০ লাখ টাকা খরচ হবে। এর সাইলেজ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ১১ থেকে ১২ হাজার টন। যা বিক্রির টার্গেট প্রায় ৫০ লাখ টাকা। আর কমপক্ষে ১০ লাখ টাকা আয়ের আশা করছেন।

এদিকে ভুট্টার ফলন ভালো হলেও বর্তমানে রোগবালাই পোকামাকড় দেখা দিয়েছে। নিজস্ব পদ্ধতি ব্যবহার করে পোকামাকড় নিধনের চেষ্টা করছেন চাষিরা। তাদের মতে, উপজেলা কৃষি অফিস থেকে কর্মকর্তারা এসে বিভিন্ন রোগবালাই পোকামাকড়ের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার পরামর্শ দিতেন তাহলে অনেক উপকার হত। এ ব্যাপারে থেতরাই ইউনিয়নের দায়িত্ব থাকা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা জামিল হোসেন জানান, চরাঞ্চলে যাওয়া কষ্টকর। ওই বøকে যাওয়ার চেষ্টা করব।

অফরদিকে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মুকিত বিল লিয়াকত ইনকিলাবকে বলেন, বিষয়টি আমার জানাছিল না। ওই বøকের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাকে অবগত করে পাঠানো হবে। এছাড়া সকল ধরনের সহযোগিতা প্রদান করা হবে। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ৫৬৫ হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন