প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেন, নিরাপদ ও নৈতিক অভিবাসন নিশ্চিত করতে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ। নিরাপদ অভিবাসনের লক্ষ্যে জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী আমাদের সরকার বাংলাদেশের প্রতিটি উপজেলা থেকে বছরে গড়ে ১ হাজার কর্মীকে বিদেশে পাঠানোর লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে। এ লক্ষ্য অর্জনে সরকারের পাশাপাশি উন্নয়ন সহযোগী, আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহ, এনজিও, সুশীলসমাজসহ সব অংশীজনকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। বৈদেশিক কর্মসংস্থানের যে চ্যালেঞ্জগুলো রয়েছে সেগুলো সবার আন্তরিক সহযোগিতা ও প্রচেষ্টার মাধ্যমে অতিক্রম করা সম্ভব বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। আজ রোববার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস-২০২২ উপলক্ষে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন।
প্রবাসী মন্ত্রী বলেন, প্রতিযোগিতামূলক বাজারে টিকে থাকার জন্য দক্ষ জনশক্তির কোনো বিকল্প নেই। তিনি আরো বলেন, যথাযথ প্রশিক্ষণ পেলে আমাদের অভিবাসীরা দেশের অর্থনীতিতে আরও বড় অবদান রাখতে পারবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৮ম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় উপজেলা পর্যায়ে একটি করে কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ কর্মী তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন। ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী গত ২৮ জুলাই ২৪টি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র উদ্বোধন করেছেন। এরই ধরাবাহিকতায় মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে আরো ১০০ টি উপজেলায় ১০০টি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদনের জন্য পরিকল্পনা কমিশনে প্রেরণের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
সভায় প্রবাসী মন্ত্রী বলেন, অভিবাসী কর্মীরা দেশের জন্য বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন করে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখছেন। দেশের অবকাঠামো উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনের মাধ্যমে তারা দেশের সুনাম বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিচ্ছেন। সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এমপি। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রবাসী মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. শফিকুল ইসলাম। এতে আরো বক্তব্য রাখেন আইএলও টুমো পটেনিন,আইওএম এর চীফ অব মিশন আব্দুসাত্তার ইসোয়েভ, ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক মো. হামিদুর রহমান, জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালক মো. শহীদুল আলম বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অফ ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সীস (বায়রা)- এর সভাপতি আবুল বাশার এবং এনআরবি সিআইপি এসোসিয়েশনের সভাপতি মো. মাহতাবুর রহমান। এরপর এন আরবি সি আই পি ২০১৯ এর জন্য মনোনীত ৬৭ জন প্রবাসী বাংলাদেশিকে ক্রেস্ট ও সম্মাননা এবং ১৬৮৮ জন প্রবাসী কর্মীদের সন্তানদের বৃত্তি প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠান শেষে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন