কক্সবাজারের উখিয়ায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা স্কাস (সমাজকল্যাণ ও উন্নয়ন সংস্থা) কর্তৃক মাদক ও নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্টিত হয়েছে।
মঙ্গলবার ( ২০-ডিসেম্বর), কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা (স্কাস) এর কনফারেন্স কক্ষ, উখিয়ায় সমাজ কল্যাণ ও উন্নয়ন সংস্থা (স্কাস) উদ্দ্যোগে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের মাননীয় ডেপুটি স্পীকার মোঃ শামসুল হক টুকু, এমপি, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কক্সআজার -০৩ ( কক্সবাজার সদর-রামু) আসনের মাননীয় সাংসদ সাইমুম সরওয়ার কমল। সভার সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান হোসাইন সজীব। আরও উপস্থিত ছিলেন স্কাস এর চেয়ারম্যান ও বিশিষ্ট নারী উদ্দ্যোক্তা জেসমিন প্রেমা, উখিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ নাদিম আলী, কক্সবাজার প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক মুজিবুল ইসলাম, কক্সবাজার জেলা পরিষদ সদস্য আশরাফ জাহান কাজল প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মহান জাতীয় সংসদের মাননীয় স্পীকার মোঃ শামসুল হক টুকু এমপি, বলেন- উন্নয়নের পুর্ব শর্ত সুস্থ মানব সম্পদের উন্নয়ন মাদকমুক্ত সমাজ, নারীর প্রতি অহিংসতা ও আইন শৃংখলার উন্নয়ন। মানবসম্পদের উন্নয়ন, আইন শৃংখলা রক্ষা, নারীর প্রতি সহিংসতা নিরসনে বাংলাদেশ সরকার কাজ করে যাচ্ছেন। জাতির জনক বঙ্গ বন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বাংলাদেশের স্বাধীনতা উত্তর জাতি ও দেশ পুর্ণগঠনের জন্যে বাংলাদেশের সংবিধানে নারীপুরুষের সমান অধিকার ও নারীর প্রতি সহিংসতা নিরসনের ব্যাপারে স্পষ্ট আইন প্রনয়ণ করেন। বংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোড মডেল হিসেবে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত। মাদক, রাজনৈতিক সহিংসতা না থাকলে, আজ দেশ অনেকদুর এগিয়ে যেতো।
তিনি আরো বলেন, ২০১৭ সালে মিয়ানমার কর্তৃক জোরপুর্বক বাস্ত্যুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্টীকে বাংলাদেশে আশ্রয় দিয়ে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, জননেত্রী শেখ হাসিনা যে মানবতা দেখিয়েছেন, তা বিশ্বেবিরল। আবার কেহ কেহ বাংলাদেশের মানবাধিকারের ব্যাপারে কথা বলার চেষ্টা করেন। তাদের এরুপ কথা বলার ক্ষেত্রে আরও বেশি হিসেব করে কথা বলা উচিত।
পুর্ববর্তী বক্তারা সীমান্তে ওয়াল নির্মান করলে মাদকবন্ধ হতো, এর উত্তরে তিনি বলেন, মাদক নির্মূলের জন্য সীমান্তে ওয়াল নির্মানই সমাধান নয়। কিন্তু মাদকের ব্যাপ্তি ও গভীরতা অনেক দূরে এবং বাস্তবতা অনেক কঠিন।
তিনি আরো বলেন, মাদকাসক্ত, সে নিজে ধ্বংস হচ্ছে, তার পরিবারকে ও সমাজকে ধ্বংস করছে। তাহলে সে কেন বিষরুপ মাদককে গ্রহণ করবে? কেন একজন অভিভাবক তার সন্তান কি করে, না করে খবর রাখবে না? মাদকের ক্ষতিকর দিক তুলেধরে, একমাত্র সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে মাদক নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। এক্ষেত্রে শুধু সরকারের একার পক্ষে মাদ্ক নির্মুল করা সম্ভব নয়। সমাজের প্রত্যেককে, প্রতিটি রাজনৈতিক দলকে এগিয়ে আসতে হবে।সরকার মাদক নিরাময় কেব্দ্রগুলোকে হাতের নাগালে নিয়ে আসার চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, নিরাময়ের চেয়ে প্রতিরোধই মাদক মুক্ত সমাজ নির্মানের রক্ষাকবচ। সরকারের পক্ষ থেকে মাদক নিরাময় কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে। উচ্চ শিক্ষায় ভর্তি, চাকুরী, বিয়ে প্রভৃতি ক্ষেত্রে ডোপ টেস্টের মাধ্যমে ভর্তি বা নিয়োগ প্রদান করলে মাদকের ভয়াবহ অবস্থা থেকে রক্ষা পাবার ক্ষেত্র সৃষ্টি হবে। ২০৪১ সাল নাগাদ ধুমপান ও মাদকমুক্ত সমাজ নির্মানের প্রচেষ্টায় বর্তমান সরকার এগিয়ে যাচ্ছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন