আজ সকালে রাজধানী ঢাকায় এ মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এরই মধ্যে শনিবার সকালেও ঢাকার বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর' অবস্থায় রয়েছে।
সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ২০০ নিয়ে দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকা চতুর্থ স্থানে আছে।
তালিকায় ২২৫, ২২০ ও ২০৯ একিউআই স্কোর নিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার তিনটি শহর যথাক্রমে ভারতের মুম্বাই, পাকিস্তানের লাহোর ও আফগানিস্তানের কাবুল প্রথম তিনটি স্থান দখল করেছে।
একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ২০০ হলে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য ‘অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয়। ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোর ‘খারাপ’ বলা হয়, যেখানে ৩০১ থেকে ৪০০ এর স্কোর ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে, সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ এবং ওজোন (ও৩)।
দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদফতর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে- ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং তাদের জন্য কোনো ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি হতে পারে তা জানায়।
তীব্র শীতে কাঁপছে চুয়াডাঙ্গা। শনিবার দেশের এবং এ মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায় রেকর্ড করা হয়েছে। এতে ভয়াবহ কষ্টে পড়েছেন জেলার শিশু ও বয়োজ্যেষ্ঠরা।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, শনিবার সকাল ৯টায় ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। তাপমাত্রার পারদ ৯ ডিগ্রির নিচে নেমে যাওয়ায় চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈতপ্রবাহ।
এর আগে গতকাল শুক্রবার এ জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। যা গতকাল দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল।
আবহাওয়া অফিস বলছে, এরফলে টানা দু‘দিন দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা এ জেলায় রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়া এ মৌসুমে টানা তিন দিন দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা এ জেলায় রেকর্ড হয়েছে। আজ বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৯৫ শতাংশ। আগামীকাল তাপমাত্রা আরো কমতে পারে বলেও আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে।
এদিকে বেলা বাড়ার সাথে সাথে জেলায় সূর্যের দেখা মেলেনি। উত্তরের হিমেল বাতাসে ঠান্ডার মাত্রাও বেড়েছে। ফলে বিপর্যস্ত অবস্থায় রয়েছে এ এলাকার মানুষ। তীব্র শীত ও ঠান্ডা বাতাস মিলিয়ে ব্যাহত হচ্ছে চুয়াডাঙ্গার সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন