দিনভর কুয়াশা আর শৈত্যপ্রবাহের দাপট। রাতে ঠান্ডার তীব্রতা বাড়িয়েছে হিমেল হাওয়া। এর মধ্যেই বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
কনকনে বাতাসে কাবু সাধারণ মানুষ। বিপর্যস্ত জনজীবন। ষড়ঋতু বাংলার প্রাণপ্রকৃতির জন্য আশীর্বাদ হলেও শীতের মাত্রা বাড়লে তা দুর্ভোগ নিয়ে আসে অনেকের জীবনে। এর মধ্যে বেশি নাজেহাল হন ছিন্নমূলরা।
তবে আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী, সোমবার (৯ জানুয়ারি) দেশের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। এ সময় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।
এছাড়া টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, মানিকগঞ্জ, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, সাতক্ষীরা ও কুষ্টিয়া জেলাসহ রাজশাহী এবং রংপুর বিভাগের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ কিছু এলাকায় প্রশমিত হতে পারে।
যদিও সারা দেশে সোম ও মঙ্গলবার রাতের তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। আর আগামী ৫ দিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এ সময়ের শেষের দিকে বৃষ্টি অথবা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে।
আবহাওয়া অফিসের তথ্যানুযায়ী, যশোর ও চুয়াডাঙ্গায় বইছে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। রোববার তাপমাত্রার পারদ এ দুই জেলায় সর্বনিম্ন ৭.৮ ডিগ্রিতে নেমে আসে। এদিন ঢাকায় সর্বনিম্ন ১২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
আবহাওয়ার বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বাড়তি অংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তার কাছাকাছি বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিম এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, যার বাড়তি অংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। ঢাকায় সোমবার (৯ জানুয়ারি) সূর্যাস্ত সন্ধ্যা ৫টা ২৮ মিনিটে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন