রোববার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

জয় দিয়ে চট্টগ্রাম পর্বের বিপিএল শুরু বরিশালের

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৩ জানুয়ারি, ২০২৩, ৫:৪৩ পিএম

বড় জয় দিয়ে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) চট্টগ্রাম পর্রের খেলা শুরু করল সাকিব আল হাসানের ফরচুন বরিশাল। শুক্রবার চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে সাকিব বাহিনী হারিয়েছে ২৬ রানে। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) বরিশালের দেয়া ২০৩ রান তাড়া করতে নেমে নির্ধারিত ওভার শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৭৬ রানে থেমেছে চট্টগ্রামের ইনিংস।

চট্টগ্রামের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৭ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত ছিলেন জিয়াউর রহমান। বরিশালের হয়ে একটি করে উইকেট তুলে নিয়েছেন সাকিব আল হাসান, খালেদ আহমেদ, কামরুল ইসলাম ও করিম জানাত।

বড় লক্ষ্য তাড়ায় মারমুখো ব্যাটিং উপহার দেন চট্টগ্রামের উসমান খান। গত ম্যাচে সেঞ্চুরিয়ানকে অবশ্য এদিন বেশিদূর যেতে দেননি কামরুল ইসলাম রাব্বি। ১৯ বলে ৩ চার ও ৩ ছক্কায় ৩৬ রান করে বিদায় নেন। তবে এদিন আগ্রাসী ভূমিকায় দেখা যায়নি ম্যাক্স ও’দাউদকে। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে সঙ্গ দিতে উম্মুখ চাঁদও ব্যাট করেছেন মন্থর গতিতে।

তাদের ৩৩ রানের জুটি ভাঙেন সাকিব আল হাসান। এক ওভার পর বিদায় নেন চাঁদও। ২১ বলে মাত্র একটি বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ১৬ রান করা চাঁদকে বোল্ড করেন করিম জানাত। চতুর্থ উইকেটে এসে ম্যাচের হাল ধরার চেষ্টা করেন আফিফ হোসেন। তবে ৪ চারের মারে ২১ বলে করা তার ২৮ রানে বিদায় নেন দিনি। শেষ ১৭ বলে জয়ের জন্য তখনো স্বাগতিকদের প্রয়োজন ছিল ৭৩ রান। শেষদিকে ঝড় তোলেন জিয়াউর রহমান। ২৫ বল মোকাবিলায় ৩ চার ও ৪ ছক্কায় ৪৭ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। তাতে হারের ব্যবধান কিছুটা কমে আসে। ১৭৬ রানে থামে স্বাগতিকদের ইনিংস।

এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ওভার শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে ২০২ রান সংগ্রহ করে বরিশাল। বড় সংগ্রহ এনে দেয়ার নায়ক ইফতিখার আহমেদ অপরাজিত ছিলেন ৫৭ রানে। এছাড়া দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৮ রান আসে ইবরাহিম জাদরানের ব্যাট থেকে। চট্টগ্রামের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট শিকার করলেও রান দেয়ার ক্ষেত্রে আবু জায়েদ ছিলেন বেশ খরুচে। ৪ ওভারে তিনি দেন ৪৯ রান। ৫৩ রান দিয়ে এক উইকেট তুলে নেন মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী।

অবশ্য বরিশালের দুই ওপেনার এনামুল হক বিজয় ও মেহেদী হাসান মিরাজ দলকে দুর্দান্ত শুরু এনে দেন। দুইশো স্ট্রাইকরেটে ৩ চার ও এক ছক্কায় ১২ বলে ২৪ রান করেন এবারের আসরে প্রথম ওপেনিংয়ে সুযোগ পাওয়া মিরাজ। ৩ বলে ২ চারের মারে ৮ করে তিনি বোল্ড হন মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীর বলে। ওপেনার এনামুল হক বিজয় ইনিংসের অষ্টম ওভারে বিদায় নেন ২১ বলে ৩০ রানের ইনিংস খেলে।

৭১ রানে ৩ উইকেট হারানো দলের হাল ধরতে ক্রিজে আসেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তার সঙ্গী ছিলেন ইবরাহিম জাদরান। দুজনের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ১১ ওভারেই শতরান তুলে পেলে বরিশাল। রিয়াদ ১৭ বলে ২ চার ও ২ ছক্কায় ২৫ রান করে আউট হলেও ক্রিজের একপ্রান্ত আগলে রাখেন ইবরাহিম। তাকে সঙ্গ দিতে পঞ্চম উইকেট জুটিতে ক্রিজে আসেন ইফতিখার আহমেদ।

দলীয় ১৪৭ রানে ফিফটির আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছাড়েন ইবরাহিম। ৩৩ বলে ৪ চার ও ৩ ছক্কার মারে ৪৮ রান করা আফগান ব্যাটারকে সাজঘরে ফেরান আবু জায়েদ। তাতে কিছুটা মন্থর হয়ে যায় বরিশালের রানের চাকা। তবে ১৯তম ওভারের শেষ তিন বলে আবু জায়েদকে টানা তিনটি ছক্কা হাঁকিয়ে ফের দলকে লড়াইয়ে ফেরান ইফতিখার। দুইশোর ওপর স্ট্রাইকরেটে ব্যাট করে ২৬ বলে ৫৭ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। তার ইনিংসটি ৩ চার ও ৫ ছক্কার মারে সাজানো ছিল। তাতে চট্টগ্রামের সামলে লক্ষ্যটা গিয়ে দাঁড়ায় পাহাড়সম।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
শওকত আকবর ১৩ জানুয়ারি, ২০২৩, ৭:৩৬ পিএম says : 0
মুগো মতো কোম্মে পাবা এত্তো নদী এত্তো খাল,মুগো বাড়ী বরিশাল।সকল কে হ্রদয় নিংড়ানো অভিন্দন।শুভেচ্ছা।
Total Reply(0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন