বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএস কামাল হোসেন বলেছেন, বাঙালীর হাজার বছরের স্বপ্ন পূরণ করেছেন বঙ্গবন্ধু। তিনি মন্ত্রীত্ব ছেড়ে দিয়ে আওয়ামী লীগের দায়িত্ব নিয়েছিলেন, জনগণের পক্ষে দাঁড়িয়েছেন। বঙ্গবন্ধু বাঙালির সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেননি, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার প্রস্তাবে তিনি রাজী হননি, বাঙালীর মুক্তি ছিল তার লক্ষ্য। তাই তিনি বলেছিলেন, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আহবানে সর্বস্তরের জনগণ মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলো। পাকিস্তানের সামরিক শাসক জেনারেল ইয়াহিয়া খানের নির্দেশে তাঁকে পাকিস্তানের কারাগারে নিয়ে আটক রাখা হয়। পাকিস্তানের কারাগারে মৃত্যুর প্রহর গুনছিলেন বঙ্গবন্ধু। বঙ্গবন্ধুর ডাকে নয় মাস যুদ্ধ করে বাঙালি বিজয়ী হলেও স্বাধীনতার পূর্ন স্বাদ তখনো পায়নি । ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে জাঁতি বিজয়ের পূর্ণ স্বাদ গ্রহণ করে। তাঁর এই স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ছিল ‘অন্ধকার হতে আলোর পথে যাত্রা হিসেবে।’ ১০ জানুয়ারি বাঙালি জাঁতি বঙ্গবন্ধুকে প্রাণঢালা সংবর্ধনা জানানোর জন্য প্রাণবন্ত অপেক্ষায় ছিল। আনন্দে আত্মহারা লাখ লাখ মানুষ ঢাকা বিমান বন্দর থেকে রেসকোর্স ময়দান পর্যন্ত তাঁকে স্বতঃস্ফূর্ত সংবর্ধনা জানান। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গড়তে কাজ শুরু করলেন বঙ্গবন্ধু। ঘুরে দাঁড়ালো দেশ, যখন অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য কর্মসুচি দিলেন তখন বঙ্গবন্ধু কে হত্যা করলো স্বাধীনতা বিরোধীরা। সেদিন তারা দেশের উন্নয়ন, গনতন্ত্র, স্বাধীনতাকে হত্যা করেছিলো পরাজিত শক্তি। তিনি বলেন, শত বাধা উপেক্ষা করে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ ঘুরে দাঁড়িয়েছে। সারাবিশ্ব এখন বলছে, সংকট নিরসনে শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নাই। পদ্মা সেতু নির্মান, মেট্রোরেল চালু, যোগাযোগ ব্যবস্থায় সেতু সড়ক নির্মান, বছরের প্রথমদিনে বই বিতরণ, ভুমিহীনগৃহহীনদের ঘর উপহারসহ সকল ক্ষেত্রে উন্নয়নের নবদিগন্ত সৃষ্টি হয়েছে। উন্নয়নের ধারা অব্যহত রাখতে হবে। বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে ভোট ডাকাতি করেছে, মানুষ খুন, গুম করেছে। এসব ছাড়া তারা জনগণের জন্য আর কিছুই করেনি। কিন্তু আমরা এখন গর্ব করতে পারি, শেখ হাসিনা মানবতার দিক থেকে শ্রেষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী। দেশের উন্নয়ন বন্ধ করতে যেকোন চক্রান্ত রুখে দিতে তিনি স্বেচ্ছাসেবকলীগের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানান। তিনি বগুড়ার উন্নয়ন এগিয়ে নিতে সকলকে উপ নির্বাচনে নৌকায় ভোট দেয়ার আহবান জানান। তিনি রবিবার বিকেলে শহরের সাতমাথা মুজিব মঞ্চে বগুড়া জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বথাগুলো বলেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি ভিপি সাজেদুর রহমান সাহীনের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন জেলা আ’লীগের সভাপতি মজিবর রহমান মজনু, সাধারণ সম্পাদক রাগেবুল আহসান রিপু, স্বেচ্ছাসেবকলীগের কেন্দ্রিয় কমিটির সিনিয়র সহসভাপতি ও ডাকসুর সাবেক সদস্য ম. আব্দুর রাজ্জাক। জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক জুলফিকার রহমান শান্তর সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি টি জামান নিকেতা, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক এ কে এম আসাদুর রহমান দুলু, সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড. জাকির হোসেন নবাব, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সুলতান মাহমুদ খান রনি, দপ্তর সম্পাদক আল রাজি জুয়েল, সদর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু সুফিয়ান সফিক,সাধারন সম্পাদক মাফুজুল ইসলাম রাজ, জেলা যুব লীগের সভাপতি লিটন পোদ্দার,সাধারন সম্পাদক আমিনুল ইসলাম ডাবকু,কৃষক লীগের সভাপতি আলমগীর বাদশা,সাধারন সম্পাদক মন্জু,তাতী লীগের সাধারন সম্পাদক রাসেকুজ্জামান রাজন জেলা ছাত্র লীগের সভাপতি সজীব শাহা,সাধারণ সম্পাদক মাইদুল ইসলাম জয়,জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি লুৎফুল বারী বাবু,এ কে এম এনামুল বারী টুটুল ,প্রভাষক মনিরুজ্জামান মনির,নাজমুল কাদির শিপন,আব্দুর রউফ, নুরুল আমিন শিশির, বনি ছদর খুররম,সাংগঠনিক সম্পাদক রেজাউল করিম রিয়াদ, নুরুন্নবী সরকার, আরিফুল হক বাপ্পী, শহর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নাসিমুল বারী নাসিম, সাধারন সম্পাদক মোঃ লিটন শেখ সহ জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ সহ জেলা শাখা, পৌর, সদর এবং উপজেলা শাখা স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতৃবৃন্দ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন