ঢাকা সফররত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু’য়ের গতকাল কর্মব্যস্ত দিন কেটেছে। কাকডাকা সকাল ৭টায় সালমান এফ রহমানের বাসায় যান। অতপর দিনভর তিনি বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেন। সকালেই সালমান এফ রহমানের বাসায় তার উপস্থিতি ইংগিত দেয় ডোনাল্ড লু মনে করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সবচেয়ে আস্তাভাজন ব্যাক্তি হচ্ছেন সালমান এফ রহমান। তাই সফরে সফলতা পেতে প্রথমে তার সঙ্গে বৈঠক করেন।
প্রটোকল অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ‘দেনাপাওনার বৈঠক’ সম্ভব না হওয়ায় বিকল্প পথ (প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টার) মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীকে বার্তা দেন। অতপর তিনি গুলশানে শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হন এবং তাদের কথা শোনেন। পরে নির্ধারিত বৈঠক করতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে উপস্থিত হন। সেখানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এমপি ও সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে একাধিক বৈঠকে মিলিত হন।
সেখানেই আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আছাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হন। অতপর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এ সময় ডোনাল্ড লু বাংলাদেশের সার্বিক চিত্র জানতে চান। তিনি স্পষ্টভাবে জানান, বাংলাদেশের আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন-সুশাসন-মানবাধিকার প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে মার্কিন প্রশাসন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সিরিজ বৈঠকের পর সমন্বিত (যৌথ) সংবাদ ব্রিফিংয়ে ডোনাল্ড লু বলেছেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র এবং সার্বজনীন মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রæতিবদ্ধ। এ বিষয় দুটির অবস্থান মার্কিন পররাষ্ট্রনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে। তাই এ নিয়ে বিশ্বের যেখানেই সমস্যা সেখানেই যুক্তরাষ্ট্র কথা বলে, প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেয়। বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের অংশীদারদের সাথে বাইডেন প্রশাসন খুব ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে উন্মুখ হয়ে আছে। মুক্তভাবে মানুষের কথা বলার স্বাধীনতা (ফ্রিডম অব স্পীচ) এবং এক বা সম্মিলিতভাবে মতামত, আইডিয়া কিংবা চিন্তা জনসমক্ষে শেয়ার করার স্বাধীনতার (ফ্রিডম অব এক্সপ্রেশন) পক্ষেই যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান।
ডোনাল্ড লু বলেন, মন্ত্রী-সচিবের সঙ্গে আমাদের খুব সৎ এবং খোলামেলা আলোচনা হয়েছে। পরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। দু’জনের সূচনা বক্তব্যের পর হয় প্রশ্নোত্তর পর্ব। সেখানে এক প্রশ্নের জবাবে ডোনাল্ড লু বলেন, আমরা খুবই গর্বিত, আমরা আজ শ্রম অধিকার নিয়ে কথা বলেছি। বাংলাদেশের মানুষ ও বাণিজ্যিক সম্পর্কে জন্য এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের সঙ্গে আমার আলোচনা হয়েছে। আমরা এ দেশে শ্রম অধিকার উন্নয়নে সহযোগিতা করবো। ব্যবসা বাণিজ্যের ক্ষেত্রে যে অগ্রগতি হয়েছে তাতে আমরা খুবই গর্বিত। তিনি আরো বলেন, মনোমুগ্ধকর নদীমাতৃক এবং অতিথিপরায়ণ মানুষের দেশ বাংলাদেশে আসতে পেরে আমি আনন্দিত। আমি এখানে এসেছি, আমাদের দুই দেশের বন্ধুত্বকে শক্তিশালী করতে, যখন বিশ্ব শান্তি ও ন্যায় বিচারের জন্য সংগ্রাম করে চলেছে।
র্যাব সংস্কার ও বিচার বহির্ভ‚তহত্যাকাÐ কমায় সন্তোষ প্রকাশ করলেও সংস্থাটির ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবেন কিনা সে ব্যাপারে কোনো প্রতিশ্রæতি দেননি। এ সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, র্যাব নিয়ে আলোচনা হয়েছে। নিষেধাজ্ঞার পর র্যাব সংস্কারে অভ‚তপূর্ব উন্নতিতে সন্তোষ প্রকাশ করছি। বিচারবহির্ভ‚ত হত্যাকাÐের সংখ্যা নেমে এসেছে আশাতীত ভাবে। গত সপ্তাহের হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রতিবেদনে চিহ্নিত করা হয়েছে বিচারবহির্ভ‚ত হত্যা কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে অসামান্য উন্নতি হয়েছে। এটা খুবই ভালো কাজ। এ উন্নতির কথা আমরাও স্বীকার করছি। এটা প্রমাণিত হয়, র্যাব সন্ত্রাস প্রতিরোধ ও আইন প্রয়োগের দায়িত্ব মানবাধিকার রক্ষা করেই করতে পারবে।
বাংলাদেশের জন্য কোনো পরামর্শ আছে কিনা, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ডোনাল্ড লু বলেন, আমরা আমেরিকান, সবসময়েই আমাদের অনেক পরামর্শ থাকে। এর একটি বিষয়ে আলোচনা করে আমরা খুশি, সেটা হলো শ্রম অধিকারের মতো ইস্যু। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বাংলাদেশী জনগণ এবং আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে। শ্রম অধিকার ইস্যুতে আমরা পরস্পরকে সহযোগিতা করতে পারবো এবং আমি নিশ্চিত, এই বছর আমরা অনেকদূর এগিয়ে যেতে পারবো।
যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শুল্কমুক্ত সুবিধা পেতে জেনারালাইজ সিস্টেম অব প্রেফারেন্স বা জিএসপি সুবিধা বাংলাদেশ আবার পাবে কিনা সাংবাদিকরা জানতে চাইলে ডোনাল্ড লু বলেন, কোন কোন দেশকে বাণিজ্য অগ্রাধিকার দেয়া হবে, সেটা মার্কিন কংগ্রেস ঠিক করে থাকে। আমরা সরকারের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করছি। কংগ্রেস যদি এই সুবিধা দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে তালিকার প্রথম দেশ হিসেবে বাংলাদেশ সেই সুবিধা পাবে।
ব্রিফিংয়ে মার্কিন প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আবদুল মোমেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যেহেতু আমাদের বন্ধু সে কারণে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে আমরা কীভাবে আরো অর্থবহ করতে পারি তা নিয়ে আলোচনা করেছি। এ ক্ষেত্রে (যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে) ভালো ও যৌক্তিক পরামর্শ পেলে আমরা অবশ্যই গ্রহণ করবো। আমাদের কোথাও দুর্বলতা চিহ্নিত হলে আমরা কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করবো। একটি স্বচ্ছ, সুন্দর এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে আশ্বস্ত করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ভালো নির্বাচন আমরাও চাই। আওয়ামী লীগ সব সময় ভালো নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছে। আওয়ামী লীগ ভোটের মাধ্যমে সরকারে এসেছে কখনো বুলেটের মাধ্যমে আসেনি। জনরায়ের প্রতি আমাদের বিশ্বাস আছে। বিভিন্ন বিষয়ে আমাদের মধ্যে খোলামেলা আলোচনা হয়েছে। যেহেতু তারা (যুক্তরাষ্ট্র) বন্ধু, তাই আমরা খোলামেলা আলোচনা করতে পারি। যুক্তরাষ্ট্র শান্তি চায়, বাংলাদেশও শান্তি চায়। আমরা শান্তি চাই। বিশ্বের সব জায়গায় শান্তি যাতে প্রতিষ্ঠিত হয়, সে জন্য আমরা অগ্রণী ভ‚মিকা গ্রহণ করি।
র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে ড.এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, র্যাবের কাজকর্মে তারা (যুক্তরাষ্ট্র) খুব খুশি। আমরা তাদের বলেছি, র্যাব এদেশে সন্ত্রাস বন্ধ করেছে। একসময় এই দেশে জিহাদি সন্ত্রাসের ভয়ে- আমাদের একজন জাজ মারা গেল, বিদেশী একজন হাইকমিশনার গেল, তার ওপর বোমা হামলা হলো, তিনি মারা যাননি, অন্য আরেকজন মারা গেল। ... শেখ হাসিনার সমাবেশে বোমাবাজি হয়, গ্রেনেড হামলা হয়, ২৪ জন লোক মারা যায়, ৩৭০ জন গভীরভাবে আহত হয়। এখন সেই দিন নাই। এই র্যাব থাকায়, ইদানিং দে হ্যাভ ম্যানেজড..ইউ নো- আর ২০১৭ সালের পর দেশে কোনো বড় ধরনের সন্ত্রাসী আক্রমণ হয়নি। র্যাব ডান অ্যান এক্সিলেন্ট জব।
ব্রিফিংয়ে দেয়া সূচনা বক্তব্যে পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, আমাদের মধ্যে বেশ কয়েকটি বৈঠক হয়েছে। আমি নিজেও খোলামেলা আলোচনা করেছি। যেখানে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, শ্রমপরিস্থিতি, নিষেধাজ্ঞা, মানবাধিকার, গণতন্ত্র, উন্নয়ন, সহযোগিতা, ইন্দো-প্যাসিফিক নিয়ে আমাদের চিন্তাভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। গত বছরের মতো এবারও আমাদের মধ্যে ঐকমত্য হয়েছে, আমরা একটি সময়সূচি ধরে চলমান মেকানিজমের মাধ্যমে লক্ষ্য অর্জনের জন্য সম্পর্ককে পরের ধাপে নিয়ে যাওয়ার জন্য কাজ করব। আমাদের যে সম্পদ ও প্রক্রিয়া আছে, সেগুলো ব্যবহার করে সম্পর্ককে পরের ধাপে উন্নতি করব।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লুয়ের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আছাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ডোনাল্ড লু আমাকে জানিয়েছেন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার একটি জটিল প্রক্রিয়া তাদের দেশে। এটি একটু সময় নিতে পারে। তোমরা যে প্রক্রিয়ায় অগ্রসর হচ্ছে, আমার মনে হয় ভবিষ্যতে এটি দূর হয়ে যাবে। নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের কোনও সময়সীমা নেই এবং বাংলাদেশ ঠিকপথেই এগিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন কর্মকর্তা। বাংলাদেশের আইনশৃংখলা বাহিনী যেভাবে কাজ করছে সেটিতে যুক্তরাষ্ট্র সন্তুষ্ট। তারা বলেছে, অনেক অগ্রগতি হয়েছে এবং এই অগ্রগতি যেন সবসময় থাকে। তবে র্যাবের সংস্কার নিয়ে কোনও কথা হয়নি। বরং তারা এখন বলছে তোমরা এখন যে কাজগুলো করছো তা সন্তোষজনক।
দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে দুইপক্ষের আলোচনা হয়েছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ডোনাল্ড লু বলেছেন সবার রাজনীতি করার অধিকার আছে এবং আমরা বলেছি সেটি আমরা মানি। সেজন্য তারা (বিএনপি) শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ করছে, তারা অবস্থান নিচ্ছে এবং এটিতে আমাদের কোনও বাধা নেই। তারা যদি জনগণের সম্পত্তি নষ্ট করে, গুলি ছোড়ে বা রাস্তাঘাট বন্ধ করে, তখন আমরা তাদের বাধা দেবো। অন্যথায় তারা সবকিছু করতে পারবে। রাজনৈতিক দল তাদের মতামত প্রকাশ করতে পারে। ১০ ডিসেম্বর করেছে এবং কিছু দিন আগেও করেছে।
শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠক : ঢাকা সফররত দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু বাংলাদেশের শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। তিনি শ্রমিক নেতাদের অভিজ্ঞতা ও উদ্বেগের কথা শোনেন। এ সময় তিনি বলেছেন, শ্রম অধিকারের উন্নতির প্রচেষ্টায় বাংলাদেশের সাথে সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
এদিন সকালে তিনি প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের সঙ্গে বৈঠক করেন। তারও আগে গত শনিবার ঢাকায় পৌঁছেই রাতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেনের সঙ্গে তার বাসভবনে নৈশভোজে বৈঠক করেন। ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস প্রতিটি বৈঠকে লু’র সঙ্গে ছিলেন।
সুশীল সমাজের সঙ্গে বৈঠক : বাংলাদেশর নির্বাচন, সুশাসন ও মানবাধিকার প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আর এ নিয়ে জানতে চাইলেন ঢাকা সফররত মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু। সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের কাছে তিনি অনেকটাই খেলামেলা ভাবে সেটিই জানতে চেয়েছেন। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে ডোনাল্ড লু এ বিষয়ে জানতে চান। যদিও ওই মতবিনিময়ে বিএনপির কেউ ছিল না বলেই জানিয়েছেন বাংলাদেশ পরিবেশ আইনজীবী সমিতির বেলা) নির্বাহী প্রধান সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেন, নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে কিনা মতবিনিময়ে ওনারা তারা জানতে চেয়েছেন। তারা বলেছেন, আমরা কোনো দলের পক্ষ নিয়ে কখনো কথা বলি না। আমরা একটি প্রক্রিয়া নিয়ে কথা বলি। মতবিনিময়ে কোনো দল নিয়ে কথা হয়নি। এতে আমার দেখামতে ওখানে বিএনপির কেউ ছিল না।
সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে ডানাল্ড লু বলেছেন, গণতন্ত্র এবং সার্বজনীন মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বিষয় দুটির অবস্থান মার্কিন পররাষ্ট্রনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে। তাই এ নিয়ে বিশ্বের যেখানেই সমস্যা সেখানেই যুক্তরাষ্ট্র কথা বলে, প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেয়। মুক্তভাবে মানুষের কথা বলার স্বাধীনতা এবং এক বা সম্মিলিতভাবে মতামত, আইডিয়া কিংবা চিন্তা জনসমক্ষে শেয়ার করার স্বাধীনতার পক্ষেই যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান।
সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে অংশগ্রহণকারীদের কয়েকজন জানিয়েছেন, নির্বাচনে সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার বিষয়ে সেখানে কথা বলেছেন মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বাংলাদেশের রাজনীতির খোঁজখবর নেন। এবং যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানের কথা তুলে ধরেন। সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের পর বেলার নির্বাহী পরিচালক সৈয়দা রেজোয়ানা হাসান বলেন, তিনি গঠনমূলক পরামর্শ আমরাও গঠনমূলক কথাবার্তা বলেছি। ##
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন