বাংলাদেশে ব্রিটিশ হাইকমিশন ও ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের উচ্চপদস্থ প্রতিনিধিদের একটি দলকে সম্প্রতি নিজেদের ক্যাম্পাসে স্বাগত জানিয়েছে ইউনিভার্সাল কলেজ বাংলাদেশ (ইউসিবি)। সম্প্রতি ইউসিবি’র ক্যাম্পাসে অতিথিরা এই বিশেষ পরিদর্শনে আসেন, এবং বাংলাদেশে যুক্তরাজ্য-কেন্দ্রিক উচ্চশিক্ষা প্রসঙ্গে নিজেদের গুরুত্বপূর্ণ মতামত তুলে ধরেন, যেক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় অনুমোদিত দেশের প্রথম আন্তর্জাতিক শিক্ষা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ইউসিবি। সোমবার (১৬ জানুয়ারি) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আগত অতিথিদের মধ্যে ছিলেন- বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসন, যুক্তরাজ্যের বাণিজ্যদূত রুশনারা আলী, এবং ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশ’এর কান্ট্রি ডিরেক্টর টম মিসিওসিয়া। ইউসিবির পক্ষ থেকে অতিথিদের স্বাগত জানান এসটিসি গ্রুপের সিইও (হায়ার এডুকেশন) ড. সন্দীপ অনন্তনারায়ণন; ইউসিবি’র সিওও মোশাররফ খান; হেড অব মার্কেটিং আমিদ হোসাইন চৌধুরী; ইউসিবি-এলএসই’র হেড অব এনরোলমেন্ট মোহাম্মদ মেহরাব; ইউসিবি- মোনাশ এর হেড অব এনরোলমেন্ট-কাজী খাইরুন আহমেদ সহ প্রতিষ্ঠানের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা। আগত অতিথিরা বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষার সুযোগ তৈরিতে যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের মধ্যে সহযোগিতার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন।
একই সঙ্গে ইউসিবি’র বিশেষ একাডেমিক সুযোগ-সুবিধা এবং উচ্চশিক্ষার জন্য মানানসই পরিবেশে সমৃদ্ধ স্টেট-অব-দ্য-আর্ট ক্যাম্পাসের ভূয়সী প্রশংসা করেন। দেশের শিক্ষার্থীদের প্রথমবারের মতো ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন স্বীকৃত টিচিং সেন্টার হিসেবে বিজনেস, অ্যাকাউন্টিং ও ফাইন্যান্স বিষয়ে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট ডিগ্রির সুযোগ দিচ্ছে ইউসিবি। লন্ডন স্কুল অব ইকোনোমিক্স অ্যান্ড পলিটিকাল সায়েন্সের মতো শীর্ষস্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সরাসরি নির্দেশনায় এই কোর্সগুলো পরিচালিত হচ্ছে। পাশাপাশি, বাংলাদেশে মোনাশ পাথওয়ে প্রোগ্রামের সুযোগ দিচ্ছে ইউসিবি, যেখানে মোনাশ ইউনিভার্সিটি ফাউন্ডেশন ইয়ার (গ্রেড ১২ সমমান) এবং ইঞ্জিনিয়ারিং ও বিজনেস আইটি বিষয়ে মোনাশ কলেজে ডিপ্লোমা (অস্ট্রেলিয়া আন্ডারগ্র্যাড ১ম বর্ষ সমমান) করার সুযোগ পাবে শিক্ষার্থীরা।
এসটিএস গ্রুপের হায়ার এডুকেশন’র সিইও ড. সন্দীপ অনন্তনারায়ণন বরেছেন, আমাদের ক্যাম্পাসে ব্রিটিশ হাইকমিশনার (হিজ এক্সিলেন্সি) রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসন ও বাণিজ্যদূত রুশনারা আলী সহ অতিথিদের স্বাগত জানাতে পেরে আমরা আনন্দিত। আন্তর্জাতিক শিক্ষা অর্জনে স্থানীয় শিক্ষার্থীদের জন্য ইউসিবি’র আন্তরিক প্রচেষ্টাগুলো তাদের সামনে তুলে ধরতে পেরে আমরা আনন্দিত। তারা আমাদের সাফল্যের গল্প শুনেছেন, বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার কথাও জেনেছেন। তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ পেয়ে আমরা নিজেদেরকে ভাগ্যবান মনে করছি। এই পরামর্শগুলো আমাদের ভবিষ্যৎ উন্নতির জন্য সহায়ক হবে। বলা বাহুল্য, অতিথিদের এই বিশেষ সাক্ষাত এটিই ইঙ্গিত করে যে, দেশের শিক্ষাখাতে আমাদের ভূমিকা লক্ষ্যণীয় পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়েছে। এই স্বীকৃতি আমাদের ভীষণ অনুপ্রাণিত করেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন