স্থানীয় ও বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষনের লক্ষ্যে বিনিয়োগ বান্ধব পরিবেশ উন্নয়নে সরকারি ও বেসরকারিখাতের সমন্বয় একান্ত অপরিহার্য। দেশের জিডিপিতে বৈদেশিক বিনিয়োগের বর্তমান অবদান শূণ্য দশমিক ৮ শতাংশ থেকে ৫ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় জাতীয় কর্মকৌশল প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের উপর গুরুত্বারোপ করেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি ব্যারিস্টার মো. সামীর সাত্তার। মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) ডিসিসিআই সভাপতির নেতৃত্বে ডিসিসিআই পরিচালনা পরিষদের সদস্যরা বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)-এর চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মিয়া-এর সঙ্গে বিডা কার্যালয়ে সাক্ষাতকালে এসব কথা বলেন।
ব্যারিস্টার মো. সামীর সাত্তার বলেন, বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে বিডার ‘ওয়ান স্টপ সার্ভিস (ওএসএস)’-এ উদ্যোক্তাদের সেবা নিশ্চিতকল্পে একটি জরিপ ও গবেষণা পরিচালনার প্রস্তাব করেন। একই সঙ্গে সময়োপযোগী প্রাতিষ্ঠানিক ও আইনী সংষ্কারের উপর গুরুত্ব দিয়ে বলেন, কন্ট্রাক এনফোরসমেন্ট সংক্রান্ত মামলা পরিচালনার জন্য পৃথক একটি ‘কমার্শিয়াল কোট’ গঠন করা প্রয়োজন। এছাড়াও তিনি আরবিট্রেশন আইনের সংষ্কার এবং ইনসলভেনসি আইনের আধুনিকায়নের উপর জোরারোপ করেন, যার মাধ্যমে বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষনের পরিবেশ আরো তরান্বিত হবে।
ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, এলডিসি উত্তর সময়ে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে বিশেষকরে ইউরোপের বাজার পণ্য প্রবেশাধিকারের ক্ষেত্রে বেশকিছু অগ্রাধিকারমূলক সুযোগ-সুবিধা হারবে, এমতাবস্থায় তিনি সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের সমন্বয়ে একটি ন্যাশনাল স্ট্র্যাটেজিক কমিটি গঠনের প্রস্তাব করেন, যাতে করে বাংলাদেশে রেটিফাইড কনভেনশনসমূহ বাস্তবায়ন করা যায়। পাশাপাশি প্রস্তাবিত জাতীয় কমিটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে উক্ত কনভেনশনগুলোকে কিভাবে যৌক্তিকভাবে বাস্তবায়ন করা যায়, সে বিষয়ে কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করবে।
বিডা’র নির্বাহী চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মিয়া বলেন, প্রতিবেশি সহ সকলের সাথে বাংলাদেশ বন্ধুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক সম্পর্ক বজায়ে রাখতে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি জানান, আগামী ৩ মাস নাগাদ ‘ওএসএস’কে সম্পূর্ণ কার্যকর করার পরিকল্পনা রয়েছে। বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষনে তিনি বলেন, আমাদের ব্যবসায়ী সমাজই সবচেয়ে বেশি ও কার্যকরি ভূমিকা পালন করে। তিনি বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বৈশি^ক অর্থনীতি নাানমুখী প্রতিবন্ধকতা থাকলেও আমাদের অর্থনীতি এখন ভালো অবস্থানে রয়েছে। বিপুল তরুণ জনগোষ্ঠী, উদ্যেমী ব্যবসায়ী সমাজ এবং ব্যবসা সহায়ক পরিবেশের কারণে সামনের দিনগুলোতে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি আরো বিকাশমান হবে বলে তিনি মত প্রকাশ করেন। পাশাপাশি তিনি সরকারী কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতিার উপর জোরারোপ করেন।
ডিসিসিআই ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি এস এম গোলাম ফারুক আলমগীর (আরমান), সহ-সভাপতি মো. জুনায়েদ ইবনে আলীসহ পরিষদের সদস্যরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন