বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু সীমান্তে মিয়ানমারের দুই সশস্ত্র গ্রুপের গোলাগুলিতে বিদ্ধ হয়ে হামিদ উল্লাহ নামে এক রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে। এছাড়া গুলিবিদ্ধ মুহিব উল্লাহ নামে অপর একজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তারা দুজনেই সশস্ত্র গ্রুপের সদস্য।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল বুধবার সকাল ছয়টার পর থেকে জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু সীমান্তের কোনারপাড়ার শূন্য রেখায় দুই সশস্ত্র গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি শুরু হয়। এসময় নিহত ও আহত হওয়ার ঘটনা ঘটে।
কক্সবাজারের উখিয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মল আলী জানান, ঘটনার পর গতকাল বিকেলে কক্সবাজারের কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পাশে এমএসএফ হাসপাতালে নেয়া হলে হামিদ উল্লাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। আরেক গুলিবিদ্ধ মুহিবকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তির জন্য পাঠানো হয়। তাদের বিস্তারিত পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি। নিহতের লাশ কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ওসি আরো বলেন, ‘কী কারণে বা কেন তারা গুলিবিদ্ধ হয়েছেন তা এখনও বলা যাচ্ছে না। দুজনের শরীরে বিশেষ রঙয়ের সশস্ত্র পোশাক রয়েছে। তারা মিয়ানমারের কোনো বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সদস্য বলে ধারণা করা হচ্ছে।’
প্রসঙ্গত, গত ২ মাস আগে মিয়ানমারের সশস্ত্র সংগঠন এর বিরুদ্ধে মিয়ানমার এর সামরিক বাহিনী বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ওপাড়ে ব্যাপক অভিযান চালালে নিহত ও আহত হওয়ার ঘটনা ঘটে। গত ১ মাস ধরে সীমান্ত পরিস্থিতি শান্ত থাকলেও এই ঘটনার মধ্যদিয়ে গতকাল থেকে ফের সীমান্ত পরিস্থিতি ঘোলাটে হয়েছে বলে মনে করছে স্থানীয়রা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন