নগরীর ষোলশহর এলাকায় একটি চারতলা ভবন হেলে পড়েছে। গতকাল বুধবার ফেরদৌস প্লাজা নামে ওই ভবনের লোকজনকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়। ভবন থেকে সব মালামালও সরানো হয়েছে। ভবন মালিক খোরশেদ আলম বলছেন, ভবনের পাশে চশমা খালে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ সিডিএ’র পানিবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের আওতায় প্রতিরোধ দেয়াল নির্মাণের জন্য খননকাজ চলছে। এ কারণে ভবনটি হেলে পড়েছে।
গতকাল সকালে ভবনটি হেলে পড়ার বিষয়টি সবার নজরে আসে। ভবন হেলে পড়ায় স্থানীয় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। এরপর ভবনের ভেতরে থাকা জিনিসপত্র সরানো শুরু হয়। চারতলা ভবনের নিচতলায় দোকান, দোতলায় দাঁতের চিকিৎসকের চেম্বার, তৃতীয় তলায় আইটি ফার্ম ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং চারতলায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের ৩৫তম ব্যাচের অফিস রয়েছে। একদিন আগেও ওইসব প্রতিষ্ঠানের লোকজন সেখানে কাজ করেছেন। তাদের দাবি মঙ্গলবারও ভবনটি ঠিক ছিল। গতকাল সকালে দোকান ও প্রতিষ্ঠান খুলতে গিয়ে তারা দেখতে পান ভবনটি হেলে আছে।
ভবনমালিক খোরশেদ আলম সাংবাদিকদের বলেন, এটি তাদের পারিবারিক ভবন। ১৯৮৬ সালে নকশা অনুমোদন নেওয়া হয়েছিল। সোয়া দুই কাঠা জমির ওপর চারতলা ভবন নির্মাণ করা হয় ১৯৯০ সালে। তিনি বলেন সিডিএ’র পানিবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের কাজের জন্য ভবনের একাংশ ১০ দিন আগে ভেঙে ফেলা হয়েছে। এখন যেটুকু আছে, তাও হেলে পড়েছে। ফায়ার সার্ভিসের নির্দেশনা অনুযায়ী ভবনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভবনটির মেঝেতে কয়েকটি অংশে ফাটল দেখা দিয়েছে। এটি যে কোন সময় আরো কাত হয়ে যেতে পারে। ভবন হেলে পড়ার বিষয়ে সিডিএ’র অথরাইজড অফিসার প্রকৌশলী মোহাম্মদ হাসান বলেন, ভবনের একাংশ খালের জমিতে ছিল। যা কিছুদিন আগে ভাঙা হয়েছে।
এর আগে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে নগরীর সদরঘাট থানাধীন মাঝিরঘাট স্ট্যান্ড রোড সংলগ্ন পার্বতী ফকিরপাড়া এলাকায় খননের সময় গুলজার খাল সংলগ্ন তিনতলা ও দোতলা দুটি ভবন হেলে পড়ে। পরে ভবন দুটি ভেঙে ফেলা হয়েছিল।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন