মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে এক রাতে দুই বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাতরা ৪০ ভূরি স্বর্ণ, ৪ লাখ টাকা নিয়ে গেছে৷ সে সাথে সিসিটিভি ক্যামেরাগুলো ভেঙে ফেলেছে।
বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টায় উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের শিমুলিয়া গ্রামের আক্তার হোসেন খান লাবু ও বেলাল হোসেন বেপারীর বাসায় ভোর রাতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এক রাতে একই সময় এ ডাকাতির ঘটনায় ধারণা করা হচ্ছে ডাকাতরা একই দলের সদস্য। পূর্ব পরিকল্পনা করেই তারা এ ঘটনাটি ঘটিয়েছে।,
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩ টার দিকে লাবু খানের বাসার জানালার গ্রিল (রড) কেটে বাসার ভিতর প্রবেশ করে। এরপর বাসায় থাকা সকলের হাত, পা, মুখ বেঁধে স্বর্ণ ও টাকা নিয়ে যায়। আধঘন্টা সময়ে ৪০ লাখ টাকার স্বর্ণ ও নগদ অর্থ নিয়ে যায়। এদিকে, একই সময় পাশের বাসার বেলাল হোসেন বেপারীর বাসায় থাকা সিসিটিভি ক্যামেরাগুলো ভেঙে, দরজার তালা কেটে, এক এক করে জানালার গ্রিল (রড) কেটে ঘরে প্রবেশ করে। তারপর ৬টি দরজার তালা ভেঙ্গে ঘরের বিভিন্ন জায়গা তচনচ করে।
আক্তার হোসেন খান লাবু জানান, রাত আনুমানিক সাড়ে তিনটা। হঠাৎ আমার রুমের লাইট জ্বালানি আমার ও আমার সহধর্মিণীর দিকে ৬ জন ডাকাত দেশীও ধারালো অস্ত্র নিয়ে ঘেরাও করে ফেলে। আর বলে আমরা ডাকাত কোন চিৎকার বা চালাকি চেষ্টা না করে চুপ করে বসতে। সে সাথে ঘরে কি কি টাকা, স্বর্ণ রয়েছে সেগুলো সন্ধান দিতে। এরপর আমার ঘরের সবার হাত পা মুখ বেঁধে ফেলে। এক এক করে আমার ঘরের আলমারি তচনচ করা শুরু করে। ঠিক আধাঘন্টার মধ্যে আমার ঘরে থাকা ৪০ ভূরি স্বর্ণ ও নগদ চার লাখ টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়।
বেলাল হোসেন বেপারী জানান, আমি ব্যবসার কাজে ডুবাই গিয়েছিলাম। গতকাল আসছি তাই ঢাকাতেই ছিলাম গ্রামে এখনও আসতে পারিনি। বাসায় আসলে বুঝতে পারবো কি কি নিয়ে গিয়েছে। এখনও সঠিক বলতে পারছি না। তবে সিসিটিভি ক্যামেরাগুলো ভেঙে ফেলেছে। সে সাথে বাসার আলমারির সবকিছু তচনচ করে রেখে গিয়েছে।
এ বিষয়ে লৌহজং থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল তায়াবীর জানান, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে দিয়েছি। এরপর আমি ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শ্রীনগর সার্কেল) মহোদয়ও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তদন্ত চলছে। আমরা তদন্ত সাপেক্ষে আইন ব্যবস্থা নিব। আশ্চর্য বিষয় হলো এক রাতে একই গ্রামের দুইটি বাড়িতে ডাকাতি হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন