দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলের একটি বস্তিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। ভস্মীভূত হয়েছে অন্তত ৪০টি বাড়ি। কর্তৃপক্ষ সেখান থেকে অন্তত ৫০০ মানুষকে সরিয়ে নিয়েছে। সিউলের ফায়ার সার্ভিসের বরাত দিয়ে এসব তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আজ শুক্রবার ভোর ৬টা ২৭ মিনিটের দিকে সিউলের গুরিয়ং বস্তিতে আগুনের সূত্রপাত হয়। সেখানে অন্তত ৬৬০টি পরিবার ছিল। বস্তিটির আয়তন প্রায় ১ হাজার ৭০০ বর্গকিলোমিটার। আগুন লেগে বস্তিটির অন্তত ৪০টি বাড়ি পুড়ে গেছে।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা আরও বলেছেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীর পাশাপাশি পুলিশও কাজ করছে। সেখানে ২৯০ জন ফায়ার সার্ভিসের কর্মী ও ১০টি হেলিকপ্টার কাজ করছে।
দেশটির প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলের মুখপাত্র কিম ইউন হে বলেছেন, ‘প্রেসিডেন্ট এখন ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের একটি সম্মেলনে যোগ দিতে সুইজারল্যান্ডে রয়েছেন। সেখান থেকেই তিনি আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে এবং ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টার আহ্বান জানিয়েছেন।’
দক্ষিণ কোরিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লি সাং মিন আশপাশের মানুষের জীবন বাঁচাতে ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করার নির্দেশ দিয়েছেন।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিউলের এই বস্তিটি আগুন, বন্যা ও অন্যান্য দুর্যোগপ্রবণ হয়ে উঠেছে। এই এলাকায় অনেক কাঠের বাড়ি রয়েছে। বস্তির বাসিন্দারের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও নিরাপত্তাব্যবস্থা খুবই অপ্রতুল। বস্তির মালিকানা নিয়ে বস্তিবাসী ও সরকারের মধ্যে কয়েক দশক ধরে সংঘাত চলছে। তবে সম্প্রতি বস্তিবাসীদের স্থানান্তর পরিকল্পনায় সামান্য অগ্রগতি হয়েছে।
সিউলের মেয়র ওহ সে হুন ইতিমধ্যে বস্তি পরিদর্শনে গেছেন। তিনি আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে স্থানান্তরের ব্যবস্থা নিতে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন