শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রার সাথে হিমেল হাওয়ায় বিপন্ন দক্ষিণের জনজীবন

বরিশাল ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২০ জানুয়ারি, ২০২৩, ৪:২৫ পিএম

মৌসুমের সর্বনি¤œ তাপমাত্রায় ভর করে উত্তরÑপশ্চিমের হীমেল হাওয়ায় সমগ্র দক্ষিণাঞ্চলের জনজীবন বিপন্ন। বরিশাল সহ দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা শৈত্য প্রবাহের কবলে। এ পরস্থিতি আরো দুদিন অব্যাহত থাকবে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। হিমেল হাওয়ার সাথে কনকনে ঠান্ডায় ঘর থেকে বের হওয়াও কষ্টকর। শুক্রবার সকালে স্বাভাবিক ১১.৯ডিগ্রী সেলসিয়াসের স্থলে বরিশালে তাপমাত্রার পারদ ৮.৪ ডিগ্রী সেলসিয়াসে নেমে যায়। আগের ৪৮ ঘন্টার ব্যবধানে তাপমাত্রার পারদ নেমেছে ৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এর আগের শুক্রবারও বরিশালে তাপমাত্রা ১০.৮ ডিগ্রীতে নেমে গিয়েছিল।

শীতের তীব্রতায় দক্ষিণাঞ্চল যুড়ে ঠান্ডাজনিত রোগের প্রকোপ সাম্প্রতিক বছরগুলোর সর্বাধিক পর্যায়ে। সরকারী-বেসরকারী হাসপাতালগুলোতে নিউমোনিয়া সহ ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। যাদের বেশীরভাগই শিশু ও বয়োবৃদ্ধ। সরকারী হাসপাতালগুলোতে নিউমোনিয়া সহ ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে সাড়ে ৩ হাজার রোগী ভর্তি হয়েছেন ইতোমধ্যে। এরমধ্যে বরিশালের শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগে এক সপ্তাহে ৭ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। ভোলাতেও ১ জন মারা গেছেন। প্রায় সব সরকারী হাসপাতালের শিশু বিভবাগই রোগীতে ঠাশা। গত দু মাসে ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালগুলোতে আগত রোগীর সংখ্যাও ১০ হাজারের ওপরে।
এদিকে পূর্ববর্তি ৪৮ ঘন্টার চেয়ে শুক্রবার সকালে বরিশালে তাপমাত্রার পারদ প্রায় ৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস হ্রাস পেয়েছে। গত সপ্তাহখানেক ধরেই তাপমাত্রার পারদ নিচে নামার সাথে উত্তরÑপশ্চিমের হীমেল হাওয়া নিয়ে শীতের কামড়ে সমগ্র দক্ষিণাঞ্চলের ছিন্নমূল ও অসহায় মানুষের জীবন অনেকটাই দূর্বিসহ। সাথে মাঝারী থেকে তীব্র কুয়াশা এবং উত্তর-পশ্চিমের হিমেল হাওয়ায় জনজীবন আরো বিপন্ন। মেঘনা অবহিকা সহ সমগ্র দক্ষিণাঞ্চলের নৌপথ ও দিগন্ত বিস্তৃত ফসলি জমি প্রতিদিন মধ্যরাত থেকে অনেক বেলা অবধি মাঝারী থেকে ঘন কুয়াশায় ঢেকে থাকছে। ফলে শীতকালীন সবজী সহ মাঠে থাকা উঠতি আমন ধানের ক্ষতি বাড়ছে। কিছু এলাকায় বোরো বীজতলাও ইতোমধ্যে ‘কোল্ড ইনজুরি’র কবলে। চলতি রবি মৌসুমে বরিশাল কৃষি অঞ্চলের ১১ জেলায় প্রায় সাড়ে ১৭ লাখ টন চাল পাবার লক্ষ্যে ৩.৭০ লাখ হেক্টরে বোরো ধানের আবাদ হবার কথা। ইতোমধ্যে ১ লাখ হেক্টরে আবাদ সম্পন্ন হয়েছে। এ লক্ষ্যে প্রায় ২০ হাজার হেক্টরে বীজতলা তৈরী হলেও অনেক এলাকাতেই তা কোল্ড ইনজুরির সম্মুখিন।
আবাহাওয়া বিভাগ থেকে আংশিক মেঘলা অকাশ সহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকার কথা জানিয়ে মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত মাঝারী থেকে ঘন কুয়াশার পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিন বঙ্গোপসাগরে অবস্থানের কথা জানিয়ে তার বর্ধিতঅংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে বলে জানান হয়েছে। রাত ও দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকার কথা জানিয়ে শণিবারের পরবর্তি ৪৮ ঘন্টায় তা কিছুটা বৃদ্ধির সম্ভবনার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন