হাজার অনুরোধেও কাজ হয়নি। শহরের আনাচে-কানাচে প্রস্রাব করে দিতেন পথচারীরা। এগুলো পরিষ্কার করতেই লাখ লাখ পাউন্ড ব্যয় হয়ে যেত পৌর কর্তৃপক্ষের।
তাই অভিনব এক সমাধান বের করল লন্ডনের এক পৌরসভা। তারা ঠিক করেছে, শহরের দেয়ালে প্রস্রাবরোধী রঙ করা হবে। এই রঙের গুণ এমনই যে, দেয়ালে কেউ প্রস্রাব করলেই তা ছিটকে গিয়ে লাগবে প্রস্রাবকারীর গায়েই!
সোহো পৌর অঞ্চলটিতে রয়েছে একাধিক পানশালা, রেস্তোরাঁ। বহু পর্যটক বিনোদনের উদ্দেশেই এ জনপদে আসেন। সারারাত জেগে থাকে এই শহর। এই শহরের একদিকে যেমন থাকেন উচ্চবিত্তের মানুষ, অপরদিকে একটি অংশে থাকেন মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষ। খবর এএফপির।
শহরের বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ- গত কয়েক দিন ধরে সকালে উঠেই তারা দেখছেন, তাদের বাড়ির সামনে কে বা কারা প্রস্রাব করে দিয়ে চলে যাচ্ছে। দুর্গন্ধে বাড়িতে টিকতে পারছেন না তারা। শহরের প্রায় তিন হাজার বাসিন্দা এ ব্যাপারে পৌরসভার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তার পরই শহরের নানা দেয়ালে ওই বিশেষ রঙ করার সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয় কাউন্সিলর আইচা লেস এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, তাদের এ পরিকল্পনা ফলপ্রসূ হয়েছে। রঙের মধ্যে থাকা রাসায়নিকের গুণের কারণেই এমন অদ্ভুত ঘটনা ঘটছে বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে দামি এই রঙ আপাতত শহরের হাসপাতালগুলোর দেয়ালেই দেওয়া হয়েছে। পরে অন্যত্রও করা হবে বলে জানিয়েছে পৌর প্রশাসন।
হাসপাতালের দেয়ালগুলোতেই মত্ত অবস্থায় থাকা ব্যক্তিরা সবচেয়ে বেশি প্রস্রাব করেন বলে শহরবাসীর অভিযোগ। জার্মানির একটি শহরে নাকি প্রথম এই রঙ ব্যবহৃত হয়। এবার দেয়ালে প্রস্রাব রুখতে সেই রঙেরই শরণাপন্ন হলো লন্ডনের এই পৌর প্রশাসন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন