আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে অনুরোধ করবো, যারা ডেমোক্র্যাসি ধ্বংস করেছে বলে অভিযোগ করে তাদেরকেই (বিএনপি) জিজ্ঞেস করুন তাদের ঘরে (বিএনপির অভ্যন্তরে) গণতন্ত্র নেই কেন? যাদের দলের মধ্যে গণতন্ত্র নেই, তাদের মুখে গণতন্ত্রের কথা মানায় না। ’৬৯ এর গণঅভ্যুত্থানে তাদের (বিএনপি) কোনও অবদান নেই। তারা গণঅভ্যুত্থানের স্বপ্ন দেখে। কিন্তু তাদের আন্দোলনে তারা জনসাধারণকে যুক্ত করতে পারেনি। গতকাল রোববার রাজধানীর সড়ক ভবনে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের পরিচালনা পরিষদের সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের মানুষ সরকারের পতন নয়, আন্দোলন ও নির্বাচনে ব্যর্থ বিএনপি নেতৃত্বের পতন চায়। পরিবর্তন চাইলে বিএনপিকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে হবে। তিনি বলেন, আগামী নির্বাচন গ্রহণযোগ্য ও অংগ্রহণমূলক হবে। নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে। আওয়ামী লীগ সরকার শুধু রুটিন দায়িত্ব পালন করবে। নির্বাচনে অংশ নিয়ে দেখুন আপনাদের জনপ্রিয়তা কতটুকু আছে। পরিবর্তন চাইলে নির্বাচনে আসতে হবে।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, রাস্তা ঘাট, পদ্মা সেতু, উড়াল সেতু যাই করা হোক শৃংখলা না হলে সকল উন্নয়ন ¤øান হয়ে যাবে। বাংলাদেশের উন্নয়ন বিশ্বের বিস্ময়। এত উন্নয়নের পরও সড়ক ও পরিবহনে শৃংখলা নেই। দ্রæত শৃংখলা আনতে হবে। শৃংখলার জন্য সচেতনার বিকল্প নেই।
ওবায়দুল কাদের বলেন, রোডস এন্ড হাইওয়ে সেক্টরের উন্নয়নের ক্ষেত্রে সমন্বয় করার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। যার সভাপতি হবেন এলজিআরডি মন্ত্রী। বর্ষার শুরুতেই রাস্তা মেরামতের কাজ শেষ করতে হবে। দূষণ বন্ধে সিটি করপোরেশনসহ সমন্বিত পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে খোঁড়াখুঁড়ির কাজ এপ্রিলের আগে শেষ করতে হবে। ৪ টি বাস টার্মিনাল নির্মাণ করা হবে।
সরকারের পদত্যাগ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির কবে সম্মেলন হয়েছে তাদের মনে আছে? আন্দোলনে সংগ্রামে নির্বাচনে ব্যর্থ তাদের নিজেদেরই পদত্যাগ করা উচিত। দিন যায় বছর যায় সম্মেলন হয় না বিএনপির এবং নিজেদের ঘরেই গণতন্ত্র নেই।
বিশ্ব সংকটে দেশের জনগণ কষ্ট পাচ্ছে, আমরা বিশ্ব সংকটের মূল্য দিচ্ছি, বিরোধী দলের সহায়তা ছিলো উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, সংকটে দেশের জন্য না ভেবে তারা সরকারের সাথে সংঘাতে যাচ্ছে।
নির্বাচন কমিশনের অধিনে নির্বাচনকে আওয়ামী লীগ সরকার সহায়তা করবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, নির্বাচনে আসুন। ১০ তারিখের আন্দোলনে ব্যর্থ তাদের পতন চায় জনগণ, যারা আন্দোলন, নির্বাচনে ব্যর্থ। ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ৩০ সিটও পাবে না উল্টো তাদেরই ভরা ডুবি হয়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে জনগণ বিএনপিকে বয়কট করেছে। পরিবর্তন চাইলে নির্বাচনে আসতে হবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নিজেই আলাপ আলোচনা করছেন। সামাজিক মাধ্যমে উল্টোপাল্টা তথ্যের বিষয়ে আমাদের কোনও মাথাব্যাথা নেই। ##
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন