আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বর্তমানে দেশে সঙ্কট চলছে। বিপদে আছি আমরা। তবে আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে এখনও পরিস্থিতি স্থিতিশীল আছে। আমরা সঙ্কটকে সম্ভাবনায় রূপ দিতে যাচ্ছি। ক্রমেই রফতানি আয় বাড়ছে। আমাদের জিডিপি বাড়বে, চলমান অর্থনীতির ধারায় এমন বলিষ্ঠ আভাস আমরা পাচ্ছি। তিনি গতকাল শুক্রবার চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এখন বড় বড় প্রকল্পে অর্থায়ন করা হচ্ছে না। কেননা আগে জনগণকে বাঁচাতে হবে। জনগণ বাঁচলে অর্থনীতি বাঁচবে। আর অর্থনীতি বাঁচলে দেশ বাঁচবে। জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে। জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। এবার আমাদের জন্য অনেক চ্যালেঞ্জ। কঠিন চ্যালেঞ্জ। একদিকে বিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দা। আইএমএফের প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, সারা বিশ্ব দ্রুত মহামন্দার দিকে ধাবমান। জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে ইউরোপসহ সব দেশে। পাকিস্তানে হাফ বিলিয়ন ডলারে নেমেছে রিজার্ভ। সেখানে বাংলাদেশে রিজার্ভ ৩৪ বিলিয়ন ডলারের মতো। এটা স্থিতিশীল কন্ডিশন। দেশে ৫ মাস আমদানি করার মতো রিজার্ভ আছে বাংলাদেশ ব্যাংকে।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশে অর্থনৈতিক সঙ্কট চলছে। সেখানে সরকার সম্পর্কে নানা সমালোচনা, কথাবার্তা ওঠে। সোমালিয়ার মতো দেশে মানুষ মরছে। সেখানেও সরকার পতনের দাবি তোলে না। আমাদের দেশে নির্বাচনকে সামনে রেখে উদ্ভট দাবি তোলা হয়। পাকিস্তান ছাড়া আর কোনো দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা নেই। কোথাও তত্ত্বাবধায়কের চর্চা নেই। গণতন্ত্র এত দিন ধরে চলছে আমাদের দেশে। আমাদের গণতন্ত্র বিকাশমান। এটি বিকাশমান পর্যায়ে আছে এবং এই বিকাশমান গণতন্ত্র ক্রমান্বয়ে ভুলক্রটি সংশোধন করতে পারবে। বিকাশের ধারায় গণতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পাবে। সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার পর ২১ বছর এ দেশে গণতন্ত্র ছিলই না। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করেছেন। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছেন। শেখ হাসিনা ছিলেন বলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মতো দুঃসাহসিক কাজটি তিনি করাতে পেরেছেন। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হয়েছে। সেতু মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যার কারণে দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম টানেল হয়েছে বাংলাদেশে। চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধু টানেল যান চলাচলের জন্য আগামী এপ্রিল কিংবা মে মাসে উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। এখানে কেউ ভাবতে পারেনি যে টানেল হবে। বর্তমানে কাজ প্রায় শেষ। এখন কিছু ইলেকট্রো ইঞ্জিনিয়ারিং কাজ চলছে। শেষ মুহূর্তের কাজটা চলছে। টানেলে যানবাহন প্রবেশের আগে স্ক্যান করা হবে। প্রতিটি যানবাহনকে স্ক্যান করতে সেখানে স্ক্যানার স্থাপন হবে। টানেলের নিরাপত্তায় এবং যাতে কোনো দুর্ঘটনা না হয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
শিগগিরই চট্টগ্রামে মেট্রোরেলের নির্মাণ কাজের বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলেও আভাস দিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। মতবিমিনয় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সালাম ও সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন