মানসিক ভারসাম্যহীন মেয়েটির বয়স ২৫ কিংবা ২৬ বছর। সমাজ তাকে পরিচয় দিয়েছে ‘পাগলী’। স্বামী কি বা বিয়ের মর্ম কি সেটি হয়তো তার জানা নেই। তার হয়তো বিয়েও হয়নি। অথচ সেই ‘পাগলী’ মা হয়েছেন।
হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে জন্ম নেওয়া মানসিক ভারসাম্যহীন তরুণীর সন্তানটিকে ছোটমনি নিবাসে পাঠানো হয়েছে।সোমবার (২৩ জানুয়ারি) দিবাগত রাত পৌনে ১২টায় শিশুটিকে সিলেটের বাগবাড়ি এলাকায় সরকারি ছোটমনি নিবাসে হস্তান্তর করা হয়।
মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এএইচএম ইশতিয়াক আল মামুন জানান, সোমবার দুপুরে মানসিক ভারসাম্যহীন ওই তরুণী ও তার সদ্যজাত শিশুকে হবিগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ মো. হাসানুল ইসলামের আদালতে নেওয়া হয়। আদালত শিশুটিকে ছোটমনি নিবাসে প্রেরণের আদেশ দেন। পরে রাতে একজন পুলিশ সদস্যের উপস্থিতিতে অ্যাম্বুলেন্সে করে শিশুটিকে সিলেটের বাগবাড়ি এলাকায় সরকারি ছোটমনি নিবাসে নেওয়া হয়। মা হওয়া তরুণীকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মা-সন্তান দুইজনই সুস্থ আছে।
উল্লেখ্য, রোববার বিকেলে মাধবপুর উপজেলার জগদীশপুর এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে অজ্ঞাত পরিচয় এই তরুণীর প্রসব ব্যাথা উঠে। খবর পেয়ে সেখানে অবস্থান নেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের যুগ্ম সচিব জাকিয়া পারভীন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক ডা. বদিউজ্জামান ও আসিফ ইকবালসহ কয়েকজন চিকিৎসক। তারা সেখানে মহাসড়কের পাশে কাপড় টানিয়ে ওই তরুণীর ছেলে সন্তান প্রসব করান। নবজাতকের ওজন হয়েছে ২ কেজি ৩০০ গ্রাম।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন