ফরিদপুরের সদরপুরে আওয়ামী লীগের দুই গ্রæপের সংঘর্ষে প্রধানমন্ত্রীর ছবিসহ দলীয় অফিসে হামলা-ভাঙচুর করা হয়। এ সময় হামলাকারীরা বাজারের ১০টি দোকানে ব্যাপক ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা যায়, স্থানীয় একটি বাজার দখল নেয়াকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ দুই গ্রæপের এ সংঘাত হয়। হামলা চালিয়ে ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলায় একটি ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় ও আওয়ামী লীগ অফিসসহ অন্তত ১০টি দোকানে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। হামলাকারীরা দুটি পক্ষে বিভক্ত হয়ে এ ঘটনা ঘটায়। একটি পক্ষ আওয়ামী লীগ নেতা কাম ইউনিয়ের বর্তমান চেয়ারম্যান আক্তারুজ্জামান তিতাস ও সাবেক চেয়ারম্যান কাম আওয়ামীলীগ নেতা মো. বিল্লাল ফকির। গতকাল মঙ্গলবার উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়ন পরিষদ ও কৃষ্ণপুর বাজারে এ হামলা চালানো হয়। এ ঘটনার পর থেকে ওই এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। যে কোনো মুহূর্তে বড় ধরনের অঘটন ঘটতে পারে বলেও জানান এলাকাবাসী।

কৃষ্ণপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান তিতাস জানান গণমাধ্যমকে জানান, পরাজিত প্রার্থী বিল্লাল ফকিরের নেতৃত্বে কয়েক হাজার মানুষ দেশিয় অস্ত্র নিয়ে এ হামলা চালায়। এ সময় তারা ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয়ের জানালার গøাস ও ভেতরের আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। হামলাকারীরা বঙ্গবন্ধুর ও প্রধানমন্ত্রীর ছবিও ভাঙচুর করে। তারপর কৃষ্ণপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অফিস ও বাজারের অন্তত ১০-১৫টি দোকানে হামলা-ভাঙচুর ও দুটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয়া হয়। এ সব ভাঙচুরের পাশাপাশি লুটপাট চালানো হয় বলে দাবি করেন তিনি। কিন্ত আওয়ামী লীগ নেতা বিল্লাল ফকির গণমাধ্যমকে বলেন, আমার কোন লোকজন এ হামলায় জড়িত নন। ক্ষমতায় আছেন যিনি পেশী শক্তি তার।

এ ব্যাপারে ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ভাঙ্গা সার্কেল) মো. হেলাল উদ্দিন ভ‚ঁইয়া বলেন, কৃষ্ণপুর বাজার দখল নিয়ে বিল্লাল ফকিরের লোকজন কৃষ্ণপুর ইউনিয়ন পরিষদে ও কৃষ্ণপুর বাজারে হামলা চালায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি শান্ত করেন। এলাকার শৃঙ্খলা রক্ষায় ইউনিয়ন পরিষদ ও বাজারে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।