বিদ্যমান জুয়া আইনের কিছু ধারা যুযোগপযোগী ও স্পস্টীকরণের মাধ্যমে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ও ডিভাইসের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রকার জুয়া খেলা শাস্তির আওতায় আনার প্রস্তাব করেছেন নরসিংদী জেলা প্রশাসক।
‘বঙ্গীয় প্রকাশ্য জুয়া আইন, ১৮৬৭’ কতিপয় ধারা যুযোগপযোগী ও স্পস্টীকরণের জন্য নরসিংদী জেলা প্রশাসক ডিসি সম্মেলনকে সামনে রেখে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ সম্পর্কিত বিষয়াবলিতে এই প্রস্তাব করেছেন।
প্রস্তাবে পক্ষে যুক্তিতে বলা হয়, ‘বঙ্গীয় প্রকাশ্য জুয়া আইন, ১৮৬৭’ কতিপয় ধারা পরিবর্তন করে যুযোগপযোগীকরণ করার প্রস্তাব করেন তিনি। এই আইনের ৩ ধারায় যেকোনো ঘর, তাবু, কক্ষ, প্রাঙ্গণ বা প্রাচীরবেষ্টিত স্থানকে জুয়ার স্থান হিসেবে গণ্য করা হলেও যুগের পরিবর্তনে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ও ডিভাইসের মাধ্যমে জুয়া খেলা হলেও তা আইনের আওতাভুক্ত না হওয়ায় শাস্তি প্রদান করা সম্ভব না হওয়া।
এছাড়া, আইনের ৩ ধারায় সর্বোচ্চ শাস্তি ৩ মাস করাদণ্ড অথবা ২০০ টাকা অর্থদণ্ড, ৪ ধারা অনুযায়ী সর্বোচ্চ শাস্তি ১ মাস করাদণ্ড অথবা ১০০ টাকা অর্থদণ্ড এবং ১১ ধারা অনুযায়ী সর্বোচ্চ শাস্তি ১ মাস করাদণ্ডসহ ৫০ টাকা অর্থদণ্ড করার বিধান রয়েছে, যা বর্তমান সময়ের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ না হওয়া।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে সেই প্রস্তাব বাস্তবায়নের সুপারিশে বলা হয়, আইনের ৩ ধারা সংশোধন করে বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মকে জুয়ার স্থান হিসেবে উল্লেখ করা যেতে পারে। আইনের বিভিন্ন ধারায় সর্বোচ্চ শাস্তি ২ বছর কারাদণ্ডসহ ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদানের বিধান করা যেতে পারে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন