বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সাহিত্য

এ সপ্তাহের পদাবলী

| প্রকাশের সময় : ২৭ জানুয়ারি, ২০২৩, ১২:২৪ এএম

এই শীত
উৎপলেন্দু পাল
শীত , বড্ড কনকইন্যা শীত
টিনের একচালায় ছিঁড়া কাঁথায়
দাঁতে দাঁতে খটখটানি বাইদ্য বাজে রোজ
শীত , হাড় কাপুইন্যা শীত
পুষ মাসে হাড়হাড্ডির কম্পনে
যমের পদধ্বনী ট্যার পায় আমাগো বুঁচির মায়
শীত , খেজুর রসের টুপটাপ
রোজ সকালে শীত ফেরি করে
আমার ইসকুলের বন্ধু অতীন্দ্র ভগবান
শীত , ল্যাপের ওমের উত্তাপ
সোহাগে জরাইয়া থাকে রাইত ভর
সুরভী বিয়াইনের রতিক্লান্ত যুবতী শরীর
শীত , মুগের পুলির ডুব
ক্ষীর সাগরের অতলে মনের খোঁজে
দাদু নাতিনের মধুর অভিসারের অছিলায়
শীত , খোশ মেজাজী খুব
কখনো কশ্মীরের বরফের আগুন
আবার কখনো মকর সংক্রান্তির গঙ্গাসাগর
শীত , মাঘ মাইস্যা শীত
কুয়াশায় ঢাকা পরে ক্ষুধার্ত প্যাট
হাড়ির তলায় গড়ায় কড়কড়া মোটা ভাত
শীত , এক সর্বনাশী যমদূত
আশীটা বসন্তের প্রতীক্ষায় সুরথ কাকা
আচমকাই হাজির যমরাজের বিচার সভায়।

 


সবশেষে বুঝেছি একদিন
তিতাশ মাহমুদ
সবশেষে বুঝেছি একদিন; এই নগর জাহান্নামে আমাদের ভালোবাসা রোদের হাহাকারে ডুবে পৃথিবীর পথ খুঁজে - উজান রোদের দুয়ারে দক্ষিণের দিকে যত দূর চোখ যায় সাগরের প’রে।
আমরা আমাদের শরীরের ঘ্রাণে ভেসে যেতে যেতে চারিদিকের চিরপরিচিত জনের অবিচারী চাহনির বিষ গিলে
দিনের ভাটি সূর্যের তাপে দীর্ঘ ছায়া ফেলে শেষে
অক‚ল পাথার পেরিয়ে খালপাড়ে মিশে যায় সব আয়োজন রজনীর কপাট খুলে নেমে আসে অন্ধকার- বিলুপ্ত দিবালোকে
হাহাকার করে উঠে উৎরে উঠা প্রেমের শরীর;
দীর্ঘ গড়ন রাত্রির বুকে এই নগর জুড়ে আমাদের
চার পায়ে দাঁড়াবার এতোটুকু জায়গা নেই; নক্ষত্রের উপহাস ঘড়ির সচল কাঁটা হয়ে বিঁধে
কালিগঙ্গা নদীর তীরে কেটে যায় বেমালুম রাত!
আমাদের বুকে ভালোবাসা তবু বারবার নেমে আসে- বেঁচে রয়!

 

স্মৃতি রোমন্থন
মাসুদ চয়ন
পুরনোকে খুঁজে ফেরো যদি-
ফিরে পাওয়া হবে কি আবার?
সময় যে ছেড়ে চলে যায়;
শুধু থাকে স্মৃতি হাহাকারথ
স্মৃতি পথে থোকা থোকা কাটা-
শূল হয়ে বুকে এসে বিধে;
চিরচেনা মুখগুলো রোজ,
বৃথা রঙে ভেসে ওঠে মনে;
আলপথে জলছবি কার?
ভুলে গেছি পরিচয় তার;
নিশি ভোর রাতগুলো রোজ,
ক্ষয়ে ক্ষয়ে হয়ে ওঠে নীল,
রক্তে রামধনু বোধ..
বিস্মৃতি করেনিতো খোঁজ...

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন