সেই সাথে কবিতায় ইংরেজি শব্দের কৃত্রিম ব্যবহারের পরিবর্তে লোকজ শব্দকে গুরুত্ব দেয়।উপমা,চিত্রকল্প,শব্দের ব্যবহারে নন্দনের ভার কিছু কমিয়ে তা পাঠকের হাতে বোধের একটা ছিপ তুলে দিতে চায়।তবে তা একেবারে সরল বা বিবৃতিধর্মী বাক্যাবলীকেই তার উপকরণ করে না বরং তার দেহাবয়বে রহস্য থাকে।সেইসাথে সমকালীন কবিতায় আস্তিকতাকে যেভাবে উপেক্ষা করা হয় তা না করে আস্তিকতা,নাস্তিকতা দুই ধারাকেই এখানে গুরুত্ব দেওয়া হয়।ফলে ধর্মীয় বিষয়বস্তু এখানে শুধু মিথ নয় বিশ্বাসের উপকরণ হিসেবেও উপস্থাপিত হয়।
নতুন ধারা ইতিমধ্যেই সাহিত্য অঙ্গনে তার পরিচয় স্পষ্ট করতে পেরেছে।নানাজন নানা প্রতিক্রিয়া দেখালেও এর প্রতি সমর্থন আছে এরকম মানুষেরও অভাব নেই।কোন যন্ত্রাংশের ভেতর কী কী কারিগরি বিষয় আছে তা তার দক্ষতা নয়,যদি না তার প্রকাশে কোনো উপযোগিতা সৃষ্টি হয়। কোন দামি মোবাইলের মনিটর যদি নষ্ট থাকে তবে তার মূল্যবান সকল যন্ত্রাংশের সমন্বয় অর্থহীন।গত ৩০ বছরের বাংলা কবিতায় নান্দনিক যন্ত্রাংশের এই যে ঘনঘটা দেখা গিয়েছে দুঃখের বিষয় তার প্রকাশের স্থান খুবই সীমিত।ফলে যোগব্যায়াম ও শব্দের কসরতের মাধ্যমে অহেতুক শিল্পের নন্দন জঞ্জাল বেড়েছে।
পৃথিবীর ইতিহাসে যখনই কোন সাহিত্য আন্দোলন গড়ে উঠেছে তখনই তাকে নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনা ও বিরোধী মতবাদের সৃষ্টি হয়েছে।কেউ তাকিয়েছেন তার দিকে সন্দেহের দৃষ্টিতে, কেউ করেছেন রসিকতা। আবার যে কোন ধারার সাহিত্য কর্মীদের মাঝেও দেখা দিয়েছে নানা কোন্দল।এসব অপ্রত্যাশিত কিছু নয়,এর সবকিছুই ধারাবাহিক ক্রমবিকাশের স্তর মাত্র।আত্মবিশ্বাসে স্থির থাকলে,সময় ও জীবন প্রবাহের দিকে মনোযোগ দিলে শিল্পসাহিত্য কখনো নিরর্থক হয় না।।তাই যে কোন সাহিত্য আন্দোলনকে বেগবান করতে প্রথমত নিজেদের সৃষ্টির প্রেরণার প্রতি পূর্ণ আস্থা রাখতে হবে।আশা করি নতুন ধারা কবিতার চিরায়ত আদর্শকে বহন করে ও মৌলিকতা অক্ষুণ্ন রেখে তার নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছে যাবে।তার জন্য যে অপেক্ষা ও স্থিরতার প্রয়োজন তা আমাদের যথেষ্ট আছে।কোন ইশতেহারে যখন সমকালের অনুরণনকে আত্মীকরণের অঙ্গীকার করা হয় তখন তা প্রাচীর না হয়ে বরং প্রাচীরভেদী হয়,নানা মাত্রায় তা বিকশিত হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন