ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. শেখ আবদুস সালাম বলেছেন, অর্থনীতি বিভাগের দীর্ঘ ৩৫ বছরের পথ চলায় এই প্রথম দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আজ আপনারা এক সাথে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সমবেত হয়েছেন। যা দেখে আমরা আনন্দিত।
তিনি বলেন, অর্থনীতি বিভাগ চৌকস মানুষ তৈরীর একটি বিভাগ। আমাদের জীবনের এমন কোন ডিসিপ্লিন নেই, যেখানে অর্থনীতির অনুপ্রেবেশ নেই। একটি পূর্ণাঙ্গ মানুষ এবং পূর্ণাঙ্গ নাগরিক হতে হলে যে ডিসিপ্লিনগুলোর প্রয়োজন তা সবই আছে অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থীদের মাঝে।
তিনি বলেন, বিভিন্ন সেক্টরের মানুষ এদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, তবে অর্থনীতিবীদ এবং অর্থনীতির বিভিন্ন পেশায় যারা জড়িত আছেন, তাদের একটি অতিরিক্ত দায়িত্ব আছে বলে মনেকরি।
ভিসি বলেন, যারা বিশ্ববিদ্যালয় হতে শিক্ষা জীবন শেষ করে চলে গেছে, তারা যদি বিভাগ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে অবদান রাখতে চাই। সে ক্ষেত্রে এলামনাই এসোসিয়েশন বড় ধরনের কাজ করবে।
আমরা চাই প্রতিটি বিভাগ এলামনাই এসোসিয়েশন গঠন করবে এবং সেই এসোসিয়েশনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশ ও জাতী উপকৃত হবে।
শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে অর্থনীতি বিভাগের ১ম পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
পুনর্মিলনী উদযাপন কমিটির আহবায়ক ও অর্থনীতি বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. কাজী মোস্তফা আরীফের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর ড মাহবুবুর রহমান, ট্রেজারার প্রফেসর ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. এ.কে.এম মতিনুর রহমান। সঞ্চালনা করেন অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মিথিলা তানজিল। উদ্বোধনী সভা শেষে স্মৃতিচারণমূলক অনুষ্ঠানে বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা তাদের স্মৃতিচারণ করেন।
জাতীয় সংগীতের মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়। এরপর অর্থনীতি বিভাগের প্রয়াত প্রফেসর ড. রহমত আলী সিদ্দিকী ও প্রফেসর ড. আবুল কালাম আজাদসহ প্রয়াত ছাত্র-ছাত্রীদের স্মরণে ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। আলোচনা সভা শেষে ফটোসেশন, সাংগঠনিক সভা এবং র্যাফেল ড্র ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে ১ম পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান শেষ হয়।
অনুষ্ঠান পূর্বে মীর মশারফ হোসেন ভবন চত্বর থেকে এক আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি ক্যাম্পাসের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে সমবেত হয়। এ আগে ৩ ফেব্রুয়ারি বিকেলে মীর মশারফ হোসেন ভবন চত্বরে পিঠা উৎসব ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ অনুষ্ঠানকে ঘিরে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরদের পদচারণায় ক্যাম্পাস হয়ে উঠে মুখরিত।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন