ঝিনাইদহ কালীগঞ্জের বেদে পল্লীতে সন্ত্রাসীদের হামলায় নারী ও শিশু সহ ৫ জন কমবেশি আহত হয়েছে। এ সময় ৪/৫ টি বাসাবাড়ীর আসবাবপত্র ও বিদুৎতের মিটার ভাংচুর করা হয়। হামলায় আহত রেশমা খাতুন (৩০), শাফলা বেগম (২৫) ও জিমি খাতুন (১৮) কে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। সোমবার বেলা ৩ টার দিকে কাশীপুর বেদে পল্লীতে রাসেল গ্রুপের লোকজন তাদের প্রতিপক্ষ মনিরুল গ্রæপের সদস্যদের বাড়ীঘরে ওই হামলা চালায়।
স্থানীয়দের সুত্রে জানা গেছে, জুয়া ও মাদক ব্যাবসার টাকা ভাগাভাগি নিয়ে কাশীপুরের বেদে পল্লীতে রাসেল ও মনিরুল গ্রুপের মধ্যে দির্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এ গ্রুপিই বিরোধেই গত দু’মাস আগে পৌর যুবলীগ নেতা আরিফুল ইসলাম আরিফ খুন হয়। সেই হত্যাকান্ডের ঘটনায় তার স্ত্রী থানাতে মনিরুল ইসলাম সহ ৬ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা করে। সোমবার দুপুরে ওই মামলার হাজিরা দিতে গিয়ে ঝিনাইদহ আদালতের বাইরে উপস্থিত দুই গ্রæপের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এরপর কালীগঞ্জে ফিরে এসে বিকাল ৩ টার দিকে রাসেল গ্রæপের ৬/৭ জন সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র লাঠিসোঠা নিয়ে প্রতিপক্ষ মনিরুল ও তার পক্ষের সদস্যদের বাড়ীতে হামলা চালায়। ক্ষতিগ্রস্থ মন্টু বিশ্বাসের স্ত্রী সুফিয়া বেগম জানায়, সন্ত্রসীরা প্রথমে মনিরুলের বাড়ীর হামলা চালিয়ে টিভি ফ্রিজ ও বিদুৎতের মিটার ভাংচুর করে। এরপর আমার ও আরো ৪/৫ টি বাড়ীতে ভাংচুর এবং শিশু সহ ৩ জন মহিলাকে পিটিয়ে জখম করে। এ হামলার সময়ে সে ও তার প্রতিবেশি নাছিমা বেগম, শাহানারা বেগম ও রিপ্না খাতুন বাড়ী ছেড়ে পালিয়ে শহরে চলে আসে। ভয়ে তারা বাড়িতে যেতে পারছেন না। রাত ৭ টা পর্ষন্তা তারা কালীগঞ্জ পৌর মেয়র আশরাফুল আলম আশরাফের অফিসের সন্মুখে অবস্থান করতে দেখা যায়।
কালিগঞ্জ থানার অফিসার্স ইনচাজ আব্দুর রহিম মোল্ল্যা জানান, মারামারির খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ ফোর্স পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি এখন শান্ত। তবে বাড়ীর আলমারী ভাংচুরের কথা স্বীকার করলেও এখনো কেউ কোন অভিযোগ দেয়নি বলে জানান তিনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন