ভাষার মাস, ভালোবাসার মাস ফেব্রুয়ারি। এই ফেব্রুয়ারি মাস জুড়ে অনুষ্ঠিত হয় বাঙালির প্রাণের মেলা বইমেলা। ১৯৭২ সালের ৮ই ফেব্রুয়ারি চিত্তরঞ্জন সাহা যে বীজ রোপণ করেছিলেন তা আজ পত্র পল্লবে বিকশিত হয়ে এক বিরাট মহীরুহ। এটি এখন আর নিছক বইয়ের মেলা নয়, এটি এখন বাঙালির সাংস্কৃতিক ও জাতিগত আত্মার সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে এক জাতীয় মেলায় পরিনত হয়েছে।
বাঙালির আবেগ ও চেতনার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে এই বইমেলা। একুশের চেতনার পথ ধরে এসেছে মায়ের ভাষায় কথা বলার অধিকার আর এরই ধারাবাহিকতায় একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ এবং আমাদের স্বাধীনতা। অতঃপর স্বাধীন দেশে প্রাণের মেলা বইমেলা।
বইমেলা মানেই সারা মাস জুড়ে সৃজনশীল বইয়ের প্রকাশনা। লেখক, প্রকাশক, পাঠক সবাই পুরো বছর অপেক্ষায় থাকেন এই মেলার। লেখক বই লিখেন, প্রকাশক বই প্রকাশ করেন আর পাঠক পছন্দের বই কিনতে আসেন বইমেলায়। তাই বইমেলা হয়ে ওঠে লেখক, প্রকাশক ও পাঠকদের মিলনমেলায়।
এবারের বইমেলায় আমার অনেক প্রিয়জন তাদের বই প্রকাশ করেছেন। কেউ করেছেন কবিতার বই, কেউ গল্প উপন্যাস। তাদের অনেকেই লেখক হিসেবে নবীন। নবীনদের পদচারণায় মুখরিত হোক সাহিত্যের অঙ্গন। তাদের কলম থেকে বেরিয়ে আসবে মানোত্তীর্ণ সাহিত্য, তেমনটা আশা করা দুরাশা নয় মোটেই।
কবি ও কথাসাহিত্যিক মোঃ জয়নাল আবেদীন খান। পেশায় একজন শিক্ষক। তিনি লিখেছেন একটি উপন্যাস, নাম- ‹আমি তোকে মেঘ হয়ে ছায়া দেব›। বইটি প্রকাশ করেছে প্রিয় বাংলা প্রকাশনী। দৃষ্টিনন্দন প্রচ্ছদ করেছেন এস এম জসিম ভূঁইয়া। পাওয়া যাচ্ছে বইমেলায় প্রিয় বাংলা-র ৫৯৭, ৫৯৮ নম্বর স্টলে।
কবি ও কথাসাহিত্যিক মোঃ আমিরুল ইসলাম লিখেছেন দুইটি গ্রন্থ। একটি কবিতার ও একটি উপন্যাস। কবিতার বইটির নাম ‘নিরব কান্না’ আর উপন্যাসের নাম ‹ফিরে এসো বাসন্তী›। বই দুটি প্রকাশ করেছে ঐকতান প্রকাশনী। পাওয়া যাচ্ছে বইমেলায় ঐকতান প্রকাশনী-র ৩০, ৩১ নম্বর স্টলে।
কবি ও গল্পকার সামছুদ্দোহা ফজল সিদ্দিকী পেশায় একজন শিক্ষিকা। তিনি লিখেছেন ‹রক্তে লেখা নাম› নামে একটি কাব্যগ্রন্থ। প্রকাশ করেছে পূর্ব সিলেট প্রকাশনী। বইটির প্রচ্ছদ করেছেন ফজলে রাব্বি। পাওয়া যাবে বইমেলায় রাতুল গ্রন্থপ্রকাশ, ৫০০ নম্বর স্টলে। কবি গল্পকার সুমি দাশ পেশায় একজন শিক্ষিকা। তিনি লিখেছেন একটি গল্পগ্রন্থ। নাম ‘শেষ বিকেলের আলো’। বইটির প্রচ্ছদ করেছেন উত্তম সেন। প্রকাশ করছে শৈলী প্রকাশন। পাওয়া যাবে বইমেলায় শৈলী প্রকাশনের ১৮৭ নম্বর স্টলে।
বইমেলা শুধু বই বেচাকেনার জন্য নয়। এই মেলা বাঙালির নিজস্ব সংস্কৃতির শেকড় সন্ধান ও নিজস্ব সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখার মেলা। বইমেলা বন্ধুত্বের, বইমেলা আত্মশুদ্ধির, বইমেলা লেখক-প্রকাশক-পাঠক-পাঠক এর এক মহামিলনের মেলা। বইমেলায় আসুন, আড্ডা দিন, বই কিনুন। নতুনদের বই কিনে উৎসাহিত করুন। বইয়ের কথা ছড়িয়ে পড়ুক বিশ্বময়। পৃথিবী বইয়ের হোক।
নাছিমা আনোয়ারা বেগম এর বই
বের হয়েছে, ‘সাধারণ ভবিষ্য তহবিল বিধিমালা, ১৯৭৯ ও নিরীক্ষার প্রয়োগে জিপিএফ সংক্রান্ত নিয়ম-কানুন এবং রইঅঝ++ সংকান্ত (সর্বশেষ সংশোধনীসহ)’ স্টল নং ১৮৩।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন