রাজধানীর যাত্রাবাড়ী ও শ্যামপুর এলাকা থেকে 'কিশোর গ্যাং' এর ১৪ সদস্যকে আটক করেছে র্যাব-১০। মঙ্গলবার তাদের আটক করা হয়।
বাকী ১১ জন অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় তাদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে র্যাব-১০ তাদের কাছ থেকে মুচলেকা গ্রহণ করে পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়।
আটককদের নাম- মো.সম্রাট (২০), মো. শান্ত (১৯), সোহাগ (১৯), মো. ফারুক (১৫), রবিন (১৭), অর্নব (১৬), বিবেক (১৫), মো. তুহিন (১৬), রিফাত (১৬), মো. রাব্বি (১৬), জিসান (১৬), মো. এহেমাদ (১৬), ইসমাম হোসেন (১৭) ও রবিউল ইসলাম (১৬)।
বুধবার বিকেলে তাদের আটকের পর এসব তথ্য জানিয়েছেনর্যাব-১০ এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি ফরিদ উদ্দিন।
আটকদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, তারা “কিশোর গ্যাং” এর সক্রিয় সদস্য। আটকরা রাজধানীর যাত্রাবাড়ী ও শ্যামপুর থানার বিভিন্ন এলাকায় জনবিরল এমনকি জনসমাগমপূর্ণ স্থানে একাকী পথচারীদের আকস্মিকভাবে ঘিরে ধরে আশেপাশের কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক মানিব্যাগ, টাকা-পয়সা, স্বর্ণালংকার, মোবাইল হ্যান্ডসেট, ল্যাপটপসহ সাথে বহন করা দ্রব্যসামগ্রীর ব্যাগ প্রভৃতি ছিনতাই করে দ্রুত পালিয়ে যেত।
অতিরিক্ত ডিআইজি ফরিদ উদ্দিন বলেন, আটককৃত কিশোর অপরাধীরা স্বীকার করেছে, চুরি/ছিনতাই ছাড়াও তারা মাদক সেবন, খুচরা মাদকের ব্যবসা, চাঁদাবাজি, ইভটিজিং, পাড়া-মহল্লায় মারামারি করে আসছিল। এছাড়াও তারা এলাকায় প্রভাব বিস্তারকল্পে দলবদ্ধ হয়ে সংঘাত সৃষ্টি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে ত্রাসের পরিবেশ সৃষ্টি করে সাধারন মানুষের চলাচলে ব্যাপক সমস্যা সৃষ্টি করে আসছিল বলে জানা যায় ।
তিনি আরও বলেন, আটক ১৪ জন কিশোর গ্যাং এর মধ্যে- মো. সম্রাট, শান্ত ও সোহাগদের বিরুদ্ধে যাত্রাবাড়ী থানায় ছিনতাই মামলায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এছাড়া বাকী ১১ জন অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় তাদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে র্যাব-১০ তাদের কাছ থেকে মুচলেকা গ্রহণ করে পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়।
অধিনায়ক জানান, র্যাব-১০ আগামী দিনগুলোতে তাদেরকে সার্বক্ষনিক নজরদারীতে রাখবে, যাতে তারা আর কখনো এধরনের অপরাধমূলক কাজে যোগ দিতে না পারে। এছাড়া র্যাব-১০ এর আওতাধীন এলাকায় কিশোর গ্যাং এর সাথে জড়িত অপ্রাপ্ত বয়স্ক শিশুদের সনাক্ত করে তাদের সুস্থ্য ও সুন্দর জীবন উপহার দেয়ার জন্যর্যাব-১০ বদ্ধপরিকর বলেও জানান র্যাব-১০ এর অধিনায়ক।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন