ব্রড-অ্যান্ডারসনের বোলিং তোপে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড বিধ্বস্ত করে দীর্ঘ ১৫ বছর পর তাদেরই মাটিতে টেস্ট জিতল ইংল্যান্ড। ম্যাককালাম-স্টোকস জমানায় ১১ টেস্টে ইংলিশদের দশম জয় এটি। রোববার মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টে নিউজিল্যান্ডকে ২৬৭ রানে হারিয়ে দুই ম্যাচের সিরিজে এগিয়ে গেল ইংল্যান্ড।
এ জয়ের ফলে ১৫ বছর পর নিউজিল্যান্ডে জয়ের টেস্ট জয়ের মুখ দেখল ইংল্যান্ড। সবশেষ ২০০৮ সালের মার্চে নেপিয়ারে জয় পেয়েছিল ইংল্যান্ড। গত ১৫ বছরে অবশ্য নিউজিল্যান্ডে স্রেফ ৭টি টেস্টই খেলেছে ইংলিশরা। এর দুটিতে তারা হেরেছিল, বাকিগুলো হয়েছিল ড্র। দক্ষিণ আফ্রিকা, পাকিস্তানকে হারানোর পর ইংল্যান্ডের এটি টানা ষষ্ঠ টেস্ট জয়।
অবশ্য এই টেস্টের ভাগ্য অনেকটা নিশ্চিত হয়ে যায় আগের দিনই। শেষ ইনিংসে ৩৯৪ রানের লক্ষ্যে ছুটে নিউ জিল্যান্ড দিন শেষ করে ৫ উইকেটে ৬৩ রান নিয়ে। রোববার চতুর্থ দিনে কিউইরা টিকতে পারেনি এক সেশনও। দ্বিতীয় ইনিংসে স্বাগতিকরা গুটিয়ে যায় ১২৬ রানে।
নিউজিল্যান্ডের প্রথম ৫ ব্যাটসম্যানের ৪ জনকেই বোল্ড করেছিলেন ব্রড। অ্যান্ডারসন শিকার করেন শেষ ৪ উইকেট। এই টেস্টেই ম্যাকগ্রা-ওয়ার্ন জুটিকে ছাড়িয়ে টেস্ট ইতিহাসের সফলতম বোলিং জুটির রেকর্ড গড়েন ব্রড-অ্যান্ডাসন। চতুর্থ দিনে যে কিউইরা খুব একটা লড়াই করতে পারবে না।
দিনের তৃতীয় ওভারেই আউট হন মাইকেল ব্রেসওয়েল। জ্যাক লিচের বল এই অলরাউন্ডার তুলে দেন শর্ট মিড উইকেটে। ২৫ রান নিয়ে দিন শুরু করে কোনো রান তিনি যোগ করতে পারেননি। পরের ওভারে পরপর দুই বলে অ্যান্ডারসন ফিরিয়ে দেন স্কট কুগেলাইন ও কিউই অধিনায়ক টিম সাউদিকে।
একটু পরে বিদায় করে দেন তিনি নিল ওয়্যাগনারকেও। এরপর শেষের অপেক্ষা। মিচেলকে এক প্রান্তে রেখেই আরেকপ্রান্তে ছোবল দেন অ্যান্ডারসন। ব্লেয়ার টিকনারকে বোল্ড করে শেষ করে দেন ম্যাচ। দুই ইনিংসে অ্যান্ডারসনের শিকার ৭টি। সিরিজের শেষ টেস্ট ওয়েলিংটনে শুরু হবে আগামী শুক্রবার থেকে।
ইংল্যান্ড প্রথম ইনিংসে ওয়ানডে স্টাইলে ব্যাটিং করে ৩২৫ রান তোলে। জবাবে নিউজিল্যান্ড নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৩০৬ রানে গুটিয়ে যায়। ফলে ১৯ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ইংল্যান্ড ৩৭৪ রান তোলে। জবাবে নিউজিল্যান্ড ১২৬ রানে গুটিয়ে যায়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন