জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার আটাপুর ইউনিয়নের এক কৃষক তার ফসলের জমিতে পানি সরবরাহে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সুবিধায় গভীরনলকুপের ট্রান্সফরমার চোরের হাত থেকে রক্ষা করতে বিশেষ কৌশল অবলম্বন করেছেন। চোরেরা সহজেই বৈদ্যুতিক পোলে উঠে ট্রান্সফরমার চুরি করতে না পারে এজন্য পোল লোহার পাত দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে। এছাড়াও পোল ঢেউ টিন মোড়া দিয়ে রাখা হয়েছে, যাতে ওঠার সময় শব্দ হয়।
উপজেলার মাঝিনা মাঠে স্থানীয় ইউপি সদস্য আমিনুর ইসলাম আমু ট্রান্সফরমা চুরি ঠেকাতে তিনি এ কৌশল অবলম্বন করেছেন। তিনি বলেন, বোরো চাষাবাদের সময় এ মাঠ থেকে আমার সহ বেশক’টা ট্রান্সফরমার চুরি হয়েছে। পাঁচবিবি ও জয়পুরহাট পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির মাধ্যমে নতুন করে ট্রান্সফরমার পেতে অতিরিক্ত খরচসহ অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়। আমু আরো বলেন, ট্রান্সফরমার চুরি ঠেকাতে হাজার পাওয়ারের বৈদ্যতিক বাতি, সিসি ক্যামেরা স্থাপন ও পোলে লোহার পাতের চাকায় ঘিরে রেখেছি। রামপুরা গ্রামের কৃষক সাখাওয়াত আকন্দ বলেন, আমার গভীর নলকূপের ট্রান্সফরমার ২’বার চুরি হয়। ইরি-বোরো ধানের সময় ট্রান্সফরমার চুরি হলে পানির অভাবে ফলন কম হয় এবং দিশেহারা হয়ে যাই। এলাকার লোকজন রাত জেগে ট্রান্সফরমার ও মিটার পাহাড়া দেই। তিনি আরো বলেন, চুরি ঠেকাতে আমরাও আমু মেম্বারের মত পোলে চাকা ও সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ লুৎফর রহমান বলেন, বোরো চাষাবাদে প্রচুর পানির প্রয়োজন হয়। এ সময় ট্রান্সফরমার চুরি হলে ফসল উৎপাদনে কৃষকদের বেশ সমস্যায় পড়তে হয়। গভীরনলকুপের ট্রান্সফরমার চুরি ঠেকাতে ওই কৃষক যে কৌশল অবলম্বন করেছেন এমনটি সবাইকে করা উচিৎ বলেও তিনি জানান।
পাঁচবিবি পল্লীবিদ্যুৎ অফিসের ডিজিএম আব্দুল বারী বলেন, কৃষকের গভীরনলকুপের ট্রান্সফরমার চুরিতে সেচের অভাবে ফসলের কোন ক্ষতি না হয়, পল্লীবিদ্যুৎ দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করে। এ বিষয়ে কৃষকদের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে মাইকিং ও প্রতিটি ইউপি চেয়ারম্যান মেম্বারদের চিঠি দিয়ে অবহিত করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন