বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ব্যবসা বাণিজ্য

চীনা প্রতিষ্ঠান দেশে ম্যান-মেইড ফাইবারভিত্তিক পোশাক কারখানা ও ফাইবার কারখানা স্থাপনে আগ্রহী

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ৮:৩০ পিএম

বাংলাদেশে ম্যান-মেইড ফাইবারভিত্তিক পোশাক কারখানা ও ম্যান-মেইড ফাইবার কারখানা স্থাপনের সম্ভাব্যতা বিষয়ে আলোচনা করেছে চীনা প্রতিষ্ঠান হান্দা ইন্ডাষ্ট্রিজ লি.। রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) উত্তরাস্থ বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে বিজিএমইএ’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শহিদউল্লাহ আজিমের সঙ্গে হান্দা ইন্ডাষ্ট্রিজ লি.-এর সহ-সভাপতি দেং পেইলেই দেখা করেছেন। এ সময় তার সাথে ঢাকায় জাপানী বায়িংহাউজ, এমএন ইন্টার-ফ্যাশন লি.-এর সাধারণ ব্যবস্থাপক, তাকাশি নাকাহাশি ছিলেন।

প্রসঙ্গত, চীন-ভিত্তিক পোশাক প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান হান্দা ইন্ডাষ্টিজ লি.-এর চীন, মায়ানমার ও মিশরে নিজস্ব নীটওয়্যার পোশাক প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান রয়েছে এবং তারা এককভাবে ইউরোপ ও অন্যান্য দেশে বাৎসরিক ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পোশাক রফতানি করে। অন্যদিকে এমএন ইন্টার-ফ্যাশন লি. একটি জাপানী বায়িংহাউজ, যারা বাংলাদেশে ৬ বছরেরও অধিক সময় ধরে ব্যবসা পরিচালনা করছে।

সাক্ষাৎকালে হান্দা ইন্ডাষ্ট্রিজ লি.-এর সহ-সভাপতি দেং পেইলেই বাংলাদেশে ম্যান-মেইড ফাইবারভিত্তিক পোশাক কারখানা ও ম্যান-মেইড ফাইবার কারখানা স্থাপনের স্থাপনের বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন এবং এ ব্যাপারে পোশাক শিল্পের মুখপাত্র প্রতিষ্ঠান, বিজিএমইএ থেকে সহযোগিতা কামনা করেন।

তারা বাংলাদেশে ম্যান-মেইড ফাইবারভিত্তিক পোশাক কারখানা ও ম্যান মেইড ফাইবার কারখানা স্থাপনের সম্ভাবনা ও প্রতিবন্ধকতা নিয়ে আলোচনা করেন।

বিজিএমইএ’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শহিদউল্লাহ আজিম বলেন, গত এক দশকে পোশাক শিল্পে যে বাস্তব রূপান্তর ঘটেছে, তা বিশ্ব বাজারে শিল্পের অবস্থানকে আরও দৃঢ় করেছে এবং ক্রেতা ও ভোক্তাদের আস্থা বাড়িয়েছে। সাফল্যের উপর ভিত্তি করে, শিল্পটি ক্রমাগত আরও উৎকর্ষ সাধনের জন্য প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। তিনি বলেন, টেকসই হওয়ার কারনে বিশ্ববাজারে ক্রেতারা এখন নন-কটন পোশাক পণ্যের দিকে ঝুঁকছেন। টেক্সটাইল খাতের মধ্যে বিনিয়োগের জন্য অত্যন্ত সম্ভাবনাময় একটি খাত হচ্ছে ম্যান-মেইড ফাইবার-ভিত্তিক ইয়ার্ন ও ফ্যাব্রিক্স, যেমন পলিয়েস্টার, ভিনকস, স্প্যানডেক্স, মেলাঞ্জ। সুতরাং বাংলাদেশে ম্যান-মেইড ফাইবারভিত্তিক পোশাক কারখানা ও ম্যান-মেইড ফারবার কারখানা স্থাপনের জন্য একটি রেডি মার্কেট রয়েছে।

শহিদউল্লাহ আজিম পোশাক শিল্পের টেকসই কৌশলগত রূপকল্প-২০৩০ সম্পর্কে অবহিত করে বলেন, এই রূপকল্পের আওতায় পোশাক শিল্প ২০৩০ সাল নাগাদ ১০০ বিলিয়ন ডলারের রফতানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করেছে। এই লক্ষ্য অর্জনে বিজিএমইএ সকল সুযোগ কাজে লাগাতে আগ্রহী।

তিনি আরও বলেন, নন-কটনখাতে বিদেশী বিনিয়োগ অথবা যৌথ বিনিয়োগে বিজিএমইএ’র পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় তথ্যসহ সম্ভাব্য সকল লজিষ্টিক সহযোগিতা প্রদান করা হবে।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন