অধিনায়ক হিসেবে বেন স্টোকস এবং কোচ হিসেবে ব্রেন্ডন ম্যাককালাম জুটি বাঁধার আগে টানা ৯ টেস্টে জয়হীন ছিল ইংল্যান্ড। টানা এই ব্যর্থতায় দলের ম্যানেজমেন্টে পরিবর্তনের সাহসী পদক্ষেপের সুফল পাচ্ছে ইংল্যান্ড। গতকাল মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডকে ২৬৭ রানে হারিয়ে টেস্টে টানা ষষ্ঠ জয় তুলে নিয়েছে ইংল্যান্ড। শেষ ইনিংসে ৩৯৪ রানের লক্ষ্যে ছোটা স্বাগতিকরা পরশুদিন শেষ করে ৫ উইকেটে ৬৩ রান নিয়ে। গতকাল চতুর্থ দিনে কিউইরা টিকতে পারেনি এক সেশনও। গুটিয়ে যায় তারা ¯্রফে ১২৬ রানে। স্টোকস-ম্যাককালাম জুটির অধীনে এটি ১১ ম্যাচে দশম জয় ইংল্যান্ডের।
বদলে যাওয়া ইংল্যান্ডের জন্য আরও একটি জয় নতুন কোনো ঘটনা নয়। তবে গতকালের জয়টা একটু হলেও অন্যরকম স্টোকসদের জন্য। গত ১৫ বছর নিউজিল্যান্ডকে তাদের ঘরের মাঠে হারাতে পারেনি তারা। সবশেষ ২০০৮ সালে মাইকেল ভনের নেতৃত্বে নেপিয়ারে জয়ের পর নিউজিল্যান্ডের মাটিতে এটাই প্রথম টেস্ট জয় ইংল্যান্ডের। মজার ব্যাপার হচ্ছে, সেই টেস্টের দুই সতীর্থ সাক্ষী ছিলেন এদিনও- জেমস অ্যান্ডারসন ও স্টুয়ার্ট ব্রড! এদিন তো জয়েরই দুই ভিত।
গতকালের খেলা শুরুর আগে এক সাক্ষৎকারে অ্যান্ডারসন বললেন, ‘উইকেটে আজকে (গতকাল) মুভমেন্ট কম থাকবে। জ্যাক লিচকে বড় ভূমিকা রাখতে হবে।’ দিনের প্রথম উইকেট এনে দিলেন সেই লিচই। তবে সহায়তা না থাকা উইকেটেই পরে জ্বলে উঠলেন অ্যান্ডারসন নিজে। আগের দিন ব্রড ছারখার করে দিয়েছিলেন নিউজিল্যান্ডের টপ অর্ডার। এবার আগুনে বোলিংয়ে অ্যান্ডারসন পুড়িয়ে দিলেন কিউই লেজ।
গতকাল টেস্টের চতুর্থ দিনে স্বাগতিকরা টিকতে পারেনি এক সেশনও। আগের দিন কিউইদের প্রথম ৫ ব্যাটসম্যানের ৪ জনকেই বিদায় করেছিলেন ব্রড। গতকাল ছিল অ্যান্ডারসনের পালা। একাই নিয়েছেন ৪ উইকেট। ড্যারিল মিচেল ৫৭ রান করে অপরাজিত থাকলেও ইংলিশ পেস বোলিংয়ের সামনে সুবিধা করতে পারেননি বাকিদের কেউই। দ্বিতীয় ইনিংসে ৪টি উইকেট নিয়ে ম্যাচে অ্যান্ডারসনের শিকার মোট ৭টি। ১৭৮তম টেস্টে ৬৮২ উইকেট নেয়া অ্যান্ডারসনের গড় এখন ২৫.৯৪ যা এক কথায় অবিশ্বাস্য। সেই জাদুতেই নিউজিল্যান্ড গুটিয়ে যায় ১২৬ রনে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন