লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে বন্যা ও ভূমিধসে ৩৬ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া এই ঘটনায় আরও শতাধিক মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। ভারী বৃষ্টিপাতের জেরে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে এই প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্রাজিলের দক্ষিণ-পূর্বের উপকূলীয় অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে ৩৬ জন নিহত এবং আরও শতাধিক লোক বাস্তুচ্যুত হয়েছে বলে রোববার সাও পাওলো প্রাদেশিক কর্তৃপক্ষের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে।
রয়টার্স বলছে, দুর্যোগের পর হতাহতদের খোঁজে উদ্ধারকর্মীরা সন্ধান চালিয়ে যাচ্ছে। বিচ্ছিন্ন এলাকাগুলোর মধ্যে পুনরায় সংযোগ চালু এবং রাস্তা পরিষ্কারের কাজও চলছে। এছাড়া যোগাযোগ বন্ধ হয়ে অবরুদ্ধ হয়ে পড়া কিছু এলাকায় কার্নিভাল উদযাপনের জন্য ব্রাজিলে ভ্রমণকারী অনির্ধারিত সংখ্যক পর্যটক আটকা পড়েছেন বলেও খবর বের হয়েছে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে দেখা যাচ্ছে, সাও পাওলোর উপকূলীয় এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে। আর সেটি হলে সিভিল ডিফেন্স এবং ফায়ার ডিপার্টমেন্টের উদ্ধারকারী দলের উদ্ধার তৎপরতা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে এবং এতে করে প্রাণহানির সংখ্যা আরও বেশি হওয়ার আশঙ্কাও বৃদ্ধি পাবে।
এদিকে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা, অবকাঠামো পুনরুদ্ধার এবং পুনর্গঠন কাজ শুরু করার জন্য পদক্ষেপ নিয়েছে ব্রাজিলের ফেডারেল সরকার। অন্যদিকে সাও পাওলো প্রদেশ সেখানকার ছয়টি শহরের জন্য ১৮০ দিনের বিপর্যয়কর সময় ঘোষণা করেছে।
প্রাদেশিক সরকারের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সোমবার সাও পাওলোর গভর্নর তারসিসিও ডি ফ্রেইতাস ফেডারেল কর্মকর্তাদের সাথে দেখা করবেন। কারণ ফেডারেল সরকারই চলমান এই দুর্যোগের প্রতিক্রিয়া সমন্বয় করবে।
প্রদেশটির স্থানীয় একটি সংবাদ আউটলেট অনুসারে, গত শনিবার ঘণ্টায় ৫৫ কিলোমিটার এর বেশি গতির ঝোড়ো বাতাস এবং এক মিটার উচ্চতার ঢেউয়ের মধ্যে ল্যাটিন আমেরিকার বৃহত্তম সান্তোস বন্দরে কার্যক্রম বিঘ্নিত হয়।
ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা দুর্যোগের সময় দেশের উত্তর-পূর্বের বাহিয়া প্রদেশে কার্নিভাল উদযাপন করছিলেন। সোমবার তিনি প্রধান প্রধান ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করবেন বলে তার কার্যালয় জানিয়েছে।
যাযাদি/ এস
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন