ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা (ইবি) হলে নবীন ছাত্রীকে রাতভর নির্যাতনের ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে মানববন্ধন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় জিয়া পরিষদ। সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ ভবনের সামনে এ মানববন্ধন করেন তারা।
মানববন্ধনে জিয়া পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. তোজাম্মেল হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. ইদ্রীস আলীর সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন জিয়া পরিষদের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ড. নজিবুল ইসলাম, সাদা দলের আহবায়ক অধ্যাপক ড. একেএম মতিনুর রহমান, শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও গ্রীন ফোরামের নেতা অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান, জিয়া পরিষদ নেতা অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. এটিএম মিজানুর রহমান, অধ্যাপক ড. রাশিদুজ্জামানসহ বিএনপিপন্থী শিক্ষক ও কর্মকর্তারা।
এসময় বক্তারা বলেন, “ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে নবীন ছাত্রীর উপর নারকীয় অত্যাচারের ঘটনায় আমরা লজ্জিত। স্বাধীনতা আজকে বস্ত্রহারা। আর কোন বোন যেন নির্যাতিত না হয় সেজন্য এর বিচারের দাবতে জিয়া পরিষদের মত সকল সংগঠন থেকে আন্দোলনে নামতে হবে। বাংলাদেশের মূল রোগ গণতন্ত্রহীনতা। বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে পূণরুদ্ধার করা হলে রোগের সমাধান হয়ে যাবে। তাহলে আর কোন বোনকে নির্যাতিত হতে হবে না, কোন বোনকে সম্ভ্রম হারাতে হবে না। তাই সর্বস্তরের জনগকে গণতন্ত্র পূনরুদ্ধারের আন্দোলনে সামিল হতে হবে।”
উল্লেখ্য, গত ১১ ও ১২ই ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশরতœ শেখ হাসিনা হলে দুই দফায় এক নবীন ছাত্রীকে রাতভর নির্যাতন ও বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণের অভিযোগ উঠে শাখা ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা ও ফিন্যান্স বিভাগের তাবাচ্ছুমসহ ৭/৮ জনের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগের পর বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসন, হল প্রশাসন ও শাখা ছাত্রলীগ কতৃক পৃথক তিনটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। এদিকে হাইকোর্টের নির্দেশে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসন। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছে ৪ তদন্ত কমিটি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন