বিদায়টা নিশ্চিত হয়েছিল আগের ম্যাচেই। তবে ক্রিকেটপাগল বাংলাদেশিদের আগ্রহ ছিল শেষ ম্যাচটা নিয়েও। সান্ত¡নার জয় নিয়ে ফিরতে পারবে কি বাংলাদেশ নারী ক্রেকট দল? তবে আরও একবার হতাশায় ডুবতে হল সবাইকে। আসরজুড়ে যা দেখা গেল, শেষ ম্যাচেও সেই চেনা দৃশ্যের পুনরাবৃত্তি। আরেকবার ব্যাটারদের ব্যর্থতা, তার সঙ্গে বাজে ফিল্ডিং। নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের শেষটা হলো তাই আরও বিবর্ণ। কেপ টাউনে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেটে ১১৩ রান করেছিল বাংলাদেশ। অধিনায়ক নিগার সুলতানা সর্বোচ্চ ৩০ রান করেছেন এবং সোবহানা করেছেন ২৭ রান। জবাবে দুই ওপেনার লরা উলভার্ট ও তাজমিন ব্রিটসের অপরাজিত ফিফটিতে ১৩ বল বাকি থাকতে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় স্বাগতিকরা। ফলাফল শেষ ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১০ উইকেটের হার দিয়ে বাংলাদেশে নারী দলের টি-টোয়েন্টি বিশকাপের যাত্রা শেষ হওয়া।
এবারের আসরের ৪ ম্যাচেই হারল বাঘিনীরা। শুরুতেই শ্রীলঙ্কার কাছে ৭ উইকেটের পর অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৮ উইকেটে আর তাদের তাসমান প্রতিবেশি নিউজিল্যান্ডের কাছে ৭১ রানে হেরেছে নিগার সুলতানা জৌতির দল। তাতে ২০১৪ সালের পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পরাজয়ের ধারা বজায় থাকলো। এই নিয়ে বিশ্বকাপে যে টানা ১৭ পরাজয় সঙ্গী। তবুও আশা হারাতে রাজী নন অভিজ্ঞ পেসার জাহানারা আলম। একবুক হতাশা নিয়েই ম্যাচ শেষে জানালেন তারা তাকিয়ে আছেন দেশের মাটিতে হতে যাওয়া পরের বিশ্বকাপের দিকে, ‘অবশ্যই খুব খারাপ লাগে। শুধু পেস বোলার হিসেবে আমারই নয়, মাঠে ১১ জনের সবারই খারাপ লাগে। বিশেষ করে, যে সুযোগ হাতছাড়া করে, তার সবচেয়ে বেশি খারাপ লাগে। তবে সেই মুহূর্ত থেকে ইতিবাচক ভাবনা রেখে ঘুরে দাঁড়াতে হয়। এভাবেই প্রতিটি ক্রিকেটারের ভাবা উচিত।’
আগের বিশ্বকাপগুলোর মতো এবারের বিশ্বকাপে হতাশা সঙ্গী টাইগ্রেসদের। সেই আক্ষেপ টেনে এনে তিনি যোগ করেন, ‘এটা আমাদের পঞ্চম বিশ্বকাপ। প্রতিটি বিশ্বকাপ দলের গর্বিত সদস্যা আমি। এবারের বিশ্বকাপকে তবু আমি ব্যতিক্রম মনে করি। এবার তিনটি ম্যাচে খুব কাছাকাছি গিয়েছিলাম আমরা... শ্রীলঙ্কা, অস্ট্রেলিয়া এবং আজকে (গতপরশু) দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। নিউজিল্যান্ড ম্যাচই শুধু ব্যতিক্রম। তিনটি ম্যাচে আমরা কাছাকাছি ছিলাম।’
তবে হতাশা ভুলে সামনে এগোতে চায় ২০২৪ নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজক বাংলাদেশ। ঘরের মাঠে ভালো কিছুর প্রত্যাশা জানিয়ে জাহানারা বলেন, ‘আশা করি পরের বিশ্বকাপে ভাগ্যকে পাশে পাব আমরা। আমাদের ম্যাচ পরিকল্পনা নিয়ে আরও কাজ করবো। এখান থেকে অনেক কিছু আমরা বয়ে নিতে পারব। অনেক ম্যাচ আছে সামনে। আশা করি সেই ইতিবাচক দিকগুলো আমরা কাজে লাগাব। সামনে ভিন্ন কিছু আপনারা দেখতে পাবেন।’
কারণ, আমরা এফটিপিতে থাকব, অনেক ম্যাচ আমাদের অপেক্ষায়। বেশি ম্যাচ খেলতে পারব আমরা, পরিস্থিতি সামলানোর অভিজ্ঞতা হবে আরও।’
আগামীকাল বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হবে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা। তার আগে আজ রাতেই প্রথম সেমিফাইনালে লড়বে অস্ট্রেলিয়া ও ভারত।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন