শেখ কামাল বাংলাদেশ যুব গেমসের মশাল এখন ঢাকায়। জাঁকজমক আয়োজনের মধ্যেদিয়ে বৃহস্পতিবার এই মশাল গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া থেকে রাজধানীতে নিয়ে আসা হয়। ফাগুনের পড়ন্ত বিকেলে বৃহস্পতিবার ঘড়ির কাটায় সময় তখন সাড়ে ৪টা। এসময়ে জাতীয় দলের সাবেক টেবিল টেনিস খেলোয়াড় মোস্তফা বিল্লাহ ও জাতীয় শুটার নাফিসা তাবাচ্ছুম মশাল নিয়ে প্রবেশ করেন বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন (বিওএ) ভবনে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সুসজ্জিত পিকআপ থেকে নেমে সেই মশাল তারা তুলে দেন সুসজ্জিত ডায়াসে দাঁড়ানো বিওএর মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজার হাতে। এ সময় বিওএর উপ-মহাসচিব আশিকুর রহমান মিকু, কোষাধ্যক্ষ একে সরকার, মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সামছ এ খান (অব.) এবং দুই সদস্য আবদুর রকিব মন্টু ও মাহমুদুল ইসলাম রানা উপস্থিত ছিলেন। মিনিট দশেক পর বিওএ’র মহাসচিব সেই মশাল তুলে দেন কমনওয়েলথ গেমসে জোড়া রৌপ্যজয়ী শুটার আবদুল্লাহেল বাকী ও জাতীয় নারী কাবাডি দলের খেলোয়াড় রুপালী আক্তারের হাতে। এ দুইজন মশাল নিয়ে যান ধানমন্ডিস্থ ঢাকা আবাহনী মাঠে। সেখানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠপুত্র শহীদ শেখ কামালের প্রতিকৃতিতে মশাল প্রদক্ষিণ শেষে মশাল নিয়ে যাওয়া হয় ঢাকা সেনানিবাসে। আবাহনী ক্লাব থেকে ঢাকা সেনানিবাস পর্যন্ত মশাল বহন করেন জাতীয় জিমন্যাস্ট আবু সাঈদ রাফি ও জাতীয় দাবা খেলোয়াড় তনিমা পারভিন।
আগামী রোববার শেখ কামাল বাংলাদেশ যুব গেমসের চূড়ান্ত পর্বের উদ্বোধনী দিন জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারপ্রাপ্ত সাইকিলিস্ট ফারহানা সুলতানা শিলা ও জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত সাঁতারু সেলিম মিয়া সেনানিবাস থেকে মশাল নিয়ে যাবেন বাংলাদেশ আর্মি স্টেডিয়ামে। এদিন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে শেখ কামাল যুব গেমসের চূড়ান্ত পর্বের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গেমসের মশাল প্রজ্জ্বলন করবেন এশিয়ান ইনডোর অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে স্বর্ণজয়ী স্প্রিন্টার ইমরানুর রহমান ও ২০১৯ নেপাল সাউথ এশিয়ান (এসএ) গেমসে স্বর্ণজয়ী কারাতেকা মারজান আক্তার প্রিয়া।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিস্থল থেকে এই মশাল আনুষ্ঠিকভাবে প্রজ্জ্বলন করেন বিওএর সভাপতি ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন আহমেদ। টুঙ্গিপাড়ায় মশাল প্রজ্জ্বলন করে বিওএ সভাপতি তা তুলে দেন হকি তারকা রাসেল মাহমুদ জিমি এবং শুটার কামরুন নাহার কলির হাতে। তার আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও এক মিনিট নীরবতা পালন করেন জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন আহমেদ। সেখান থেকে ১০ ক্রীড়াবিদ পাঁচটি স্থানে হাতবদল করে মশাল নিয়ে আসেন পোস্তগোলা ব্রিজ পর্যন্ত।
এবারের যুব গেমসের চূড়ান্ত পর্বে ২৪ ডিসিপ্লিনে দেশের আট বিভাগের চার হাজার ক্রীড়াবিদ ১৯৩টি সোনার পদকের জন্য লড়বেন। এছাড়াও রুপা থাকছে ১৯৩টি ও ব্রোঞ্জপদক ২৮৭টি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন