মন্থর ব্যাটিংয়ে শুরুর পর খুনে রূপ ধারন করলেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। ৮৬ রান থেকে আকিফ জাভেদকে দুই ছক্কায় ওড়ানোর পরের বলে ডাবল নিয়ে কাক্সিক্ষত সেঞ্চুরিতে পৌঁছান পাকিস্তানের এই তারকা ব্যাটসম্যান। ডানা মেলে দেন পাকিস্তান সুপার লিগে নিজের প্রথম শতকের আনন্দে। গতপরশু রাতে মুলতান ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মুলতান সুলতান্সের হয়ে করাচি কিংসের বিপক্ষে ১১০ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলেন রিজওয়ান। টি-টোয়েন্টিতে যা তার ক্যারিয়ার সেরা। ৬৪ বলের অপরাজিত ইনিংসে চারটি ছক্কার সঙ্গে ১০টি চার মারেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান।
চলতি পিএসএলে দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছেন রিজওয়ান। এখন পর্যন্ত ৫ ইনিংসে ব্যাটিংয়ে করে ১৪৪.২৯ স্ট্রাইক রেট ও ১০৯.৬৬ গড়ে সর্বোচ্চ ৩২৯ রান তার। একটি সেঞ্চুরির সঙ্গে নামের পাশে আছে তিন ফিফটি। পিএসএলের সব আসর মিলিয়ে এটি পঞ্চদশ সেঞ্চুরি। চলতি আসরে দ্বিতীয়। গত শনিবার করাচির বিপক্ষেই ১১৭ রান করেছিলেন কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্সের মার্টিন গাপটিল। স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে এ নিয়ে দ্বিতীয়বার তিন অঙ্কের উষ্ণ ছোঁয়া পেলেন রিজওয়ান। ২০২১ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে লাহোরে ৬৪ বলে ৭ ছক্কা ও ৬ চারে ১০৪ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছিলেন তিনি।
করাচির বিপক্ষে এদিন ওপেনিংয়ে নেমে ধীরলয়ে শুরু করেন রিজওয়ান। একটা সময় তার রান ছিল ১৭ বলে ১৬, চার ছিল কেবল একটি। এরপর রানের গতিতে কিছুটা দম দেন তিনি। ৫ চারে ৪২ বলে স্পর্শ করেন ফিফটি। পঞ্চাশের পর আরও মারমুখী হয়ে ওঠেন রিজওয়ান। শোয়েব মালিককে টানা মারেন দুই চার। মোহাম্মদ উমরকে ওড়ান ছক্কায়। পরে আমির ইয়ামিনকে পরপর দুই চার মেরে আশির ঘরে পৌঁছে যান তিনি। ১৯তম ওভারে আকিফের ওপর দিয়ে ওই ঝড় তুলে ৬০ বলে সেঞ্চুরিতে পা রাখেন রিজওয়ান। শতক স্পর্শ করেই ব্যাট-হেলমেট খুলে দুই হাত উঁচিয়ে ধরেন তিনি। পরে মাটিতে সেজদায় পড়ে, সৃষ্টিকর্তার শুকরিয়া আদায়ে মোনাজাত করতে দেখা যায় তাকে। শেষ ওভারে উমরকে আরেকটি ছক্কা মারেন রিজওয়ান।
তার বিধ্বংসী সেঞ্চুরি ও শান মাসুদের ৫১ রানের ইনিংসের সুবাদে ২ উইকেটে ১৯৬ রানের বড় পুঁজি গড়ে মুলতান। জেমস ভিন্স ও ইমাদ ওয়াসিমের পাল্টা আক্রমণে নির্ধারিত ওভার শেষে ১৯৩ রানে থামে ৫ উইকেট হারানো করাচি। রোমাঞ্চকর ম্যাচটি সমুলতান জিতে নেয় মাত্র ৩ রানে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন