শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

খেলাধুলা

কাঁটা দিয়ে কাঁটা তুলবে বাংলাদেশ

আর্চার-উডদের গতিই ভাবাচ্ছে হাথুরুসিংহকে

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১ মার্চ, ২০২৩, ১২:০১ এএম

ক্রিকেটের তিন সংস্করণেই নিজেদের খেলার ধরনে নজরকাড়া পরিবর্তন এনেছে ইংল্যান্ড। যে কোনো পরিস্থিতিতে আগ্রাসী ক্রিকেট খেলে সাফল্যও পেয়েছে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টির বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। তাদের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে ওই একই পথে হাঁটার বার্তা দিলেন বাংলাদেশের প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজ বেলা ১২টায় শুরু হবে ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচ।

প্রধান কোচ হয়ে দ্বিতীয় মেয়াদে বাংলাদেশে ফিরে হাথুরুসিংহের প্রথম চ্যালেঞ্জ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজটিই। মাঠে নামার আগে এক সপ্তাহ কাজ করার সুযোগ পেয়েছেন দলের সঙ্গে। খুব বেশি সময় না হলেও, দলের মধ্যে আগ্রাসী ক্রিকেটের মানসিকতা বয়ে আনার কথাই বলেছেন শ্রীলঙ্কান কোচ। বাংলাদেশের অনুশীলনেও দেখা গেছে তেমন কিছুর ছাপ। নিজেদের মধ্যে প্রস্তুতি ম্যাচের পাশাপাশি ম্যাচের আবহে ব্যাটিং-বোলিং ঝালিয়ে নিয়েছেন তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, তাসকিন আহমেদরা। ব্যাটসম্যানদের মধ্যে তৌহিদ হৃদয়, আফিফ হোসেনদের দেখা গেছে হাত খুলে খেলতে। মুশফিক-মাহমুদউল্লাহরাও চেষ্টা করেছেন উদ্ভাবনী কিছু শট খেলার। মুস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদরা ভিন্ন ভিন্ন ফিল্ড সেটআপে সেরেছেন বোলিং প্রস্তুতি।

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ শুরুর আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে প্রধান কোচের কাছে জানতে চাওয়া হয়, নিজেদের খেলার ধরনে কোনো পরিবর্তন আনার চেষ্টা করছে কি না বাংলাদেশ। উত্তরে হাথুরুসিংহে জানান, নতুন করে কিছু করছে না তার দল, ‘আমার শেষ দফার দায়িত্বে আমরা আগ্রাসী ক্রিকেট খেলেছি। আপনি যদি বলেন, বাংলাদেশ আগ্রাসী ক্রিকেট খেলে না, আমি সেটি বিশ্বাস করি না। আমরা আগ্রাসী ক্রিকেট খেলি।’ শুধু ব্যাটিংয়ে আগ্রাসন না এনে তিন বিভাগেই দলের মধ্যে এই মানসিকতা আনার কথা বললেন বাংলাদেশের প্রধান কোচ, ‘আপনি শুধু ব্যাটসম্যানদের অ্যাকশন দেখেন। আগ্রাসী ক্রিকেট বলতে আগ্রাসী ফিল্ডিং সাজানোও বোঝায়। তো আগ্রাসী ক্রিকেট খেলার অনেক উপায় আছে। শুধু বল মাঠের বাইরে পাঠানোই আগ্রাসী ক্রিকেট নয়। মাঠে আমরা ওই ধরণ আনার চেষ্টা করছি। হোক ব্যাটিং, বোলিং বা ফিল্ডিং; আমরা এভাবেই পারফর্ম করতে যাচ্ছি।’

উপমহাদেশের বাইরের দলগুলো বাংলাদেশ সফরে এলে সবসময় তাদের মধ্যে স্পিনের ব্যাপারে বাড়তি সতর্কতা দেখা যায়। ব্যতিক্রম নয় ইংল্যান্ডও। তবে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের জন্য ভাবনার কারণ হতে পারে উল্টো। প্রধান কোচ হাথুরুসিংহে তাই ভাবছেন, ইংল্যান্ডের গতিময় পেস আক্রমণের সামনে তার দলের কঠিন চ্যালেঞ্জ নিয়ে। গতকাল ঐচ্ছিক অনুশীলনের দিনে শেরেবাংলার ইনডোরের বাইরে ব্যাটিং-বোলিং ঝালিয়ে নেয় সাকিব, মাহমুদউল্লাহ, হৃদয়, তাইজুলরা। এদিন বাংলাদেশের পেসাররা কেউই আসেননি অনুশীলনে। অন্যদিকে দুপুরের পর অনুশীলনে এসে মূল মাঠে সেন্টার উইকেটের পাশে লম্বা সময় বোলিং করতে দেখা যায় ইংল্যান্ডের জফ্রা আর্চার, মার্ক উড, স্যাম কারানদের। মইন আলি, আদিল রশিদ, রেহান আহমেদরাও নিজেদের শানিয়ে নেন।

স্পিনের চেয়ে ইংল্যান্ডের ফাস্ট বোলারদের নিয়েই বেশি ভাবছেন হাথুরুসিংহে। আর্চার, উড ও কারান ছাড়া বাংলাদেশ সফরের ইংলিশ দলে আছেন আরও তিন পেসার ক্রিস ওকস, রিস টপলি ও সাকিব মাহমুদ। পাঁচ পেসারের এই আক্রমণকে বাংলাদেশের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে উল্লেখ করেন প্রধান কোচ, ‘খুব ভালো পেস আক্রমণ নিয়ে এসেছে ইংল্যান্ড। এই মুহ‚র্তে বিশ্বের সেরাদের একটি। এই সফরে তাদের দলে পাঁচ জন (আসলে ৬ জন) পেসার আছে। সঙ্গে স্পিনারও আছে তিন জন। এই সিরিজে তাদের ফাস্ট বোলারদের মোকাবেলা করা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ হবে।’

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন