মালান হতে পারেনি বাংলাদেশের নামজুল হোসেন শান্ত। সিরিজের প্রথম ওয়ানডে মিরপুরে ডেভিড মালানের দারুণ সেঞ্চুরিতে ৮ বল বাকি থাকতেই বাংলাদেশের ৩ উইকেটে হার। ফলে তিন ম্যাচ ওয়নাডে সিরিজে ০-১ ব্যবধানে এগিয়ে গেল ইংলিশরা।
বুধবার মিরপুরে ব্যাটিং ব্যর্থতায় বাংলাদেশ গুটিয়ে যায় ২০৯ রানে। জবাবে ইংল্যান্ড ৮ বল বাকি থাকতেই ৭ উইকেটে ২১২ রান তুলে নে।
সাত বছর পর ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন তামিম। ওপেনিংয়ে তামিম-লিটনের শুরু ধীর গতিতে হলেও দ্বিতীয় ওভারে রানে ফেরে বাংলাদেশ। তাতে ভর করে চার ওভারে স্কোর দাঁড়ায় ২৭।
কিন্তু পঞ্চম ওভারে এসে ধাক্কা খায় তামিমের দল। ৪.৪ ওভারে ক্রিস ওকসের বলে ছক্কা মারেন লিটন। আর পরের বলেই আউট। ওকসের সুইংয়ে বিভ্রান্ত হয়ে লাইন মিস করে এলবিডাব্লি লিটন। আম্পায়ার আউটের সিদ্ধান্ত দিলেও তামিমের পরামর্শে রিভিউ নেন লিটন।
কিন্তু তাতে মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের কোনো বদল হয়নি। দলীয় ৩৩ রানে লিটন (৭) ও ৫১ রানে তামিম (২৩) আউট হলে শেষ হয় বাংলাদেশের উদ্বোধনী জুটি। এরপরে মুশফিক ও নাজমুল হোসেন শান্ত মিলে গড়েন ৬২ বলে ৪৪ রানের জুটি।
১৯.৪ ওভারে আদিল রশিদকে স্লগ সুইপে মিড উইকেট দিয়ে ছক্কা মারতে গিয়ে মুশফিক ক্যাচ দেন মার্ক উডকে। ৩৪ বলে ১৭ রানে মুশফিকের বিদায়। দলের সেরা তারকা সাকিব মঈন আলী বলে সুইপ করতে গিয়ে বোল্ড। ১২ বলে ৮ রান করে দলকে বিপদে ঢেলে সাজঘরে ফেরেন তিনি। তাতে ১০৬ রানের মধ্যেই ৪ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
সে সময়ে শান্তকে সঙ্গ দেন মাহমুদউল্লাহ। দুজনে মিলে ৮০ বলে করেন ৫৩ রান। দলীয় ১৫৯ রানে শান্ত আউট হলে বড় সংগ্রহের আশা থেমে যায় বাংলাদেশের। ৮২ বলে ৫৮ রান করা শান্ত রশিদের গুগলিতে জেসন রয়ের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন।
কিছুক্ষণ পরেই আউট হন মাহমুদউল্লাহ। ব্যাট হাতে দাঁড়াতে পারেননি আফিফ হোসেন কিংবা মেহেদী হাসান মিরাজ। তাতে চাপ আরও বাড়ে টাইগার শিবিরে। শেষ দিকে তাসকিনের ১৪ রানে ভর করে ২০৯ রানে পৌঁছায় বাংলাদেশ। তাসকিন ও তাইজুল আউট হলে ৫০ ওভারের আগেই থাকে তামিমদের ব্যাটিং ইনিংস। ইংল্যান্ডের পক্ষে দুটি করে উইকেট নেন জোফরা আর্চার, মার্ক উড, মঈন আলি ও আদিশ রশিদ।
সহজ টার্গেট দিয়ে দলীয় ৬৫ রানে চার উইকেট তুলে দলকে জয়ের স্বপ্ন দেখায় বাংলাদেশের বোলাররা। বিদায় নেন জেসন রয়, ফির স্টল জেমস ভিন্স ও ক্যাপ্টেন জম বাটলার।
দলের বিপদে উইকেটের অন্য প্রান্তে থাকা ডেভিম মালান একাই দলকে এগিয়ে নেন। ৯২ বলে পূর্ণ করেন হাফসেঞ্চুরি। দলীয় ১৬১ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ইংলিশরা যখন প্রচণ্ড চাপে । তখনও মাথা ঢাণ্ডা রেখে দলকে একাই লড়াই করেন। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ১৬তম ম্যাচে তুলে নেন চতুর্থ সঞ্চুরি। অবশ্য মালানের সাথে একটি জায়গায় মিলছ ছিল শান্তর।
দুই জনই আজ খেলতে নেমেছিল ক্যারিয়ারের ১৬তম ওয়ানডে। ব্যাটিংও করেছেন ওয়ানডাউনে ব্যাট করেন। শান্ত সেঞ্চুরি না পালেও মালান সেঞ্চুরির পর ১১৪ রানে অপরাজিত দলকে ঠিকই জেতান। বাংলাদেশ হেরেছে মূলত তার কাছেই। ফলে ৮ বল বাকি থাতকেই ৭ উইকেটে ২১২ রান তুলে নেয় ইংল্যান্ড। বল হাতে তাইজুল নেন সর্বোচ্চ ৩ উইকেট।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন