শেখ কামাল ২য় বাংলাদেশ যুব গেমসের দ্রুততম তরুণ হয়েছেন খুলনার নাইম শেখ এবং রেকর্ড গড়ে দ্রুততম তরুণীর খেতাব জিতেছেন রংপুরের স্প্রিন্টার আইরিন আক্তার। যুব গেমসের দ্বিতীয় আসরে অ্যাথলেটিক্স ডিসিপ্লিনের আকর্ষণীয় ইভেন্ট তরুণ-তরুণীদের ১০০ মিটার স্প্রিন্ট গতকাল বনানীর আর্মি স্টেডিয়ামের ট্র্যাকে অনুষ্ঠিত হয়। তরুণদের এই ইভেন্টে খুলনার নাইম শেখ ১০.৮০ সেকেন্ড সময় নিয়ে দৌঁড় শেষ করে স্বর্ণপদক জয় করেন। এর আগে ২০১৮ সালে প্রথম যুব গেমসে চট্টগ্রাম বিভাগের হাসান মিয়া দ্রুততম তরুণের খেতাব জিততে সময় নিয়েছিলেন ১০.৬০ সেকেন্ড। এই ইভেন্টে ১০.৯০ সেকেন্ড সময় নিয়ে খুলনা বিভাগের রবিউল ইসলাম রৌপ্য এবং ১১.১০ সেকেন্ড সময়ে রাজশাহী বিভাগের আরিফ বিল্লাহ ব্রোঞ্জপদক জেতেন।
একই ভেন্যুতে তরুণী বিভাগের ১০০ মিটার স্প্রিন্টে ১২.২০ সেকেন্ড সময় নিয়ে গেমসে নতুন রেকর্ড গড়ে দ্রুততম তরুনীর খেতাব জিতেছেন রংপুর বিভাগের আইরিন আক্তার। প্রথম আসরে রাজশাহীর রূপা খাতুন দ্রুততম তরুণী হয়েছিলেন ১২.৩০ সেকেন্ড সময় নিয়ে দৌঁড় শেষ করে। এই বিভাগে হ্যান্ডটাইমিংয়ে ১২.৫০ সেকেন্ডে রুপা জিতেছেন খুলনা বিভাগের সুলতানা জিন্নাত এবং ১২.৬০ সেকেন্ডে ব্রোঞ্জপদক জয় করেন রাজশাহী বিভাগের উম্মে সুলতানা পপি।
তরুণদের ৮০০ মিটার দৌঁড়ে ১ মিনিট ৫৯.৭৭ সেকেন্ড সময় নিয়ে স্বর্ণপদক জেতেন ময়মনসিংহের আসলাম শিকদার। দুই মিনিট ১.৮৪ সেকেন্ড সময়ে রাজশাহীর মমিনুল হোসেন মুন্না রৌপ্য ও দুই মিনিট ২.৩৯ সেকেন্ডে খুলনা বিভাগের নিয়ামুল শেখ জেতে ব্রোঞ্জপদক। তরুণীদের ৮০০ মিটার দৌঁড়ে দুই মিনিট ৩৩.০৭ সেকেন্ডে চট্টগ্রামের তানজিনা আক্তার তানিশা স্বর্ণ, দুই মিনিট ৩৪.৩১ সেকেন্ডে ঢাকা বিভাগের বৃষ্টি আক্তার রৌপ্য ও দুই মিনিট ৩৬.৮১ সেকেন্ড সময়ে খুলনা বিভাগের শায়লা খানম ব্রোঞ্জপদক জিতে নেন।
এদিকে চট্টগ্রাম বিভাগের শ্রেষ্ঠত্বের মধ্যেদিয়ে কাল সন্ধ্যায় পর্দা নামলো সাতদিন ব্যাপী শেখ কামাল বাংলাদেশ যুব গেমসের। আর্মি স্টেডিয়ামে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে গেমসের সমাপণী ঘোষণা করেন বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ) সভাপতি ও সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিওএ’র মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা সহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।
দেশের আট বিভাগের তরুণ খেলোয়াড়দের নিয়ে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়েছিল শেখ কামাল বাংলাদেশ যুব গেমসের চূড়ান্ত পর্ব। এই পর্বে ৪ হাজার খেলোয়াড় ২৪টি ডিসিপ্লিনে অংশ নেন। যেখানে সেরা হয় চট্টগ্রাম বিভাগ। তারা ৪৯টি স্বর্ণ, ৪০ রৌপ্য ও ৫৭টি ব্রোঞ্জসহ মোট ১৪৬টি পদক জিতে নেয়। দ্বিতীয় স্থান পাওয়া ঢাকা বিভাগ জিতেছে ৪৬টি স্বর্ণ, ৩৯ রৌপ্য ও ৬১ ব্রোঞ্জসহ ১৪৬টি পদক। ৪২ সোনা, ৪৩ রুপা ও ৫৯ ব্রোঞ্জসহ মোট ১৪৪টি পদক জিতে তৃতীয় হয় খুলনা বিভাগ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন