মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

ওয়ানডের মাঝেই আগ্রাসী টি-টোয়েন্টির প্রস্তুতি

রুমু, চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৬ মার্চ, ২০২৩, ১২:০১ এএম

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের স্কোয়াডে নেই শামীম হোসেন পাটোয়ারী, রনি তালুকদার কিংব শরিফুল ইসলামরা। টি-টোয়েন্টিতে আছেন শামীম ও রনি। তবে তৃতীয় ওয়ানডের আগে এই দুজনের সঙ্গে বিশ ওভারের সিরিজের দলে থাকা নুরুল হাসান সোহান, তানভির ইসলাম, রেজাউর রহমান রাজা ও নাসুম আহমেদও ব্যস্ত সময় পার করেছেন গতকাল। নেটে শরিফুল বল করেছেন রনি, শামীমদের। এই পেসারের গুড লেন্থের বল কিছুটা রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে খেলায় আগাসী খেলার কড়া বার্তা দিয়েছেন ব্যাটিং কোচ ডেজমি সিডন্স।

প্রথম দুই ম্যাচ হেরে আগেই সিরিজ হার নিশ্চিত হয়েছে বাংলাদেশের। হোয়াইটওয়াশড হওয়ার শঙ্কা মাথায় রেখেও শেষ ম্যাচের আগের দিন ঐচ্ছিক অনুশীলন করেছে দল। তবে তাসকিন আহমেদ, মেহেদী হাসান মিরাজ, লিটন দাস ও আফিফ হোসেন ছাড়া বাকি দশজনই ছিলেন অনুশীলনে। এদিন তাই টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটারদের ব্যস্ততা ছিল চোখে পড়ার মতো। বিশ ওভারের ক্রিকেটের আগ্রাসী মনোভাবটা যেন না কমে সেদিকে বাড়তি নজর দেন কোচিং স্টাফের সদস্যরা। ব্যাটসম্যানদের যেমন বলেছেন মেরে খেলতে, তেমনি বোলারদের জন্য নির্দেশনা ছিল তাদের আটকে রাখার।

আগের দিনই একসঙ্গেই ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে এসেছে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দল। পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী গতকাল সকাল ১০টার মধ্যেই জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে আসেন ওয়ানডে ক্রিকেটাররা। ঘণ্টাখানেক পর মাঠে ঢুকতে দেখা যায় টি-টোয়েন্টি দলে থাকা রনি-শামীমদের। হালকা ওয়ার্ম-আপের সময় তাদের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলতে দেখা যায় টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে। পরে ফিল্ডিং কোচ শেন ম্যাকডারমট করান ক্যাচিং অনুশীলন। গড়পড়তা ক্যাচিং না করিয়ে ম্যাচ পরিস্থিতির মতো করে ফিল্ড সাজিয়ে এই সেশনটি করেন ম্যাকডারমট। যেখানে দারুণ কিছু ক্যাচ নেন শামীম, তানভির, রনিরা।

পরে শুরু হয় ব্যাটিং-বোলিং অনুশীলন। প্রায় ৮ বছর পর দলে ফেরা রনির সঙ্গে পাশাপাশি নেটে ব্যাটিং শুরু করেন শামীম। এক নেটে বোলিং করেন টি-টোয়েন্টিতে প্রথমবার ডাক পাওয়া রাজা ও দল থেকে বাদ পড়ে যাওয়া শরিফুল। অন্য নেটে ছিলেন দুই বাঁহাতি স্পিনার তানভির ও নাসুম। পেস বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ডের চাওয়ায় শরিফুল ও মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরিকে রাখা হয়েছে দলের সঙ্গে। স্পিনারদের নেটে প্রথম দুই ওভারের বেশি প্রায় প্রতি বলে ৪-৬ মারেন শামিম। পাশের নেটে রনি একটি বল ডিফেন্ড করতেই সিডন্সের চিৎকার, ‘না! না! ডিফেন্ড করা যাবে না। ৪-৬ মারো।’ রনির জবাব, ‘এরই মধ্যে ২টি মেরেছি।’ এবার কড়া টিচারের ভূমিকায় সিডন্স, ‘প্রতি বলে মারতে হবে।’

রনিকে আরও কিছু কথা বলছিলেন সিডন্স। তখন দোভাষী হিসেবে সহায়তা করার জন্য এগিয়ে আসেন ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল। সিডন্সের বার্তা পেয়ে আর কোনো বল রক্ষণাত্মক খেলেননি রনি। রাজার একটি বল ফ্লিক করে ‘চার, চার’ বলতে থাকেন তিনি। তবে রাজার দাবি, সেটি ছিল ১ রান। এবারও মধ্যস্থতা করেন তামিম। তিনি রায় দেন, ‘স্কয়ার লেগের ফিল্ডার ফাইন হয়ে দাঁড়ালে ১ রান, নইলে ৪।’ আর এই রায়ে জয় পান রাজা।

শামীম ও রনি বেশ কিছুক্ষণ ব্যাটিংয়ের পর হাথুরুসিংহে বলেন, ‘১২ বল খেলে দুজনই আমার কাছে আসবে।’ সেই কথা অনুযায়ী দুজনই যান প্রধান কোচের কাছে। তখন তামিমসহ আবার হয় ছোটখাটো একটি বৈঠক। দূর থেকে বোঝার উপায় ছিল না কী কথা হয়েছে তাদের। দুই ব্যাটসম্যানের দাপুটে ব্যাটিংয়ে দিশেহারা না হয়ে রান ঠেকানোর জন্য নতুন নতুন পথ খুঁজে নিচ্ছিলেন তানভির ও নাসুম। তখন শামীমের কাছে গিয়ে সিডন্সের বার্তা, ‘সুইপ খেলো, রিভার্স সুইপ খেলো। পুল শটটা ধরে রাখো। বোলারকে নতুন কিছু ভাবতে বাধ্য করো।’ ব্যাটিং কোচের কথা শুনে সুইপের পাশাপাশি স্কুপও খেলতে দেখা যায় শামীমকে। যা দেখে বাহবা দিতেও ভোলেননি সিডন্স। প্রায় বিশ মিনিট পর নিজেদের মধ্যে নেট অদলদবল করেন রনি ও শামীম। স্পিনের পর পেসের বিপক্ষেও মেরে খেলতে দেখা যায় শামীমকে। রনিও খুঁজে নেন তানভির-নাসুমের বলে আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের পথ। প্রায় দুই ঘণ্টা অনুশীলনের পর ওয়ানডে দলের সঙ্গেই মাঠ ছেড়ে যান তারা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন