ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ ওয়ানডে ম্যাচে এসেও বড় সংগ্রহ গড়তে পারেনি টাইগাররা। শান্ত-মুশফিক ও সাকিব আল হাসানের ব্যাটিং দৃঢ়তায় নির্ধারিত ৪৮,৫ ওভারে ২৪৬ রানে গুটিয়ে গেছে স্বাগতিকরা। ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট সংগ্রহ করেছেন স্যাম কারেন।
সোমবার চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ। ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনার লিটন দাস ও তামিম ইকবালের বিদায়ের পর দলকে পথ দেখান শান্ত ও মুশফিক জুটি। দুজনের ব্যাটে ভর করে আধিপত্যই করছিল বাংলাদেশ। কিন্তু ইনিংসের ২৫ ওভারের তৃতীয় বলে দুই ব্যাটারের ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হয়ে মাঠ ছাড়তে হয় শান্তকে।
রেহান আহমেদের করা বল ঠেকিয়ে অন স্ট্রাইকে দাঁড়িয়ে থাকেন শান্ত। কিন্তু তার দিকে লক্ষ্য না করেই রান নেয়ার জন্য নন-স্ট্রাইক পজিশন থেকে বেরিয়ে আসেন মুশফিক। তিনি ক্রিজের অর্ধেকের বেশি পার হয়ে আসলে শান্তও তার পজিশন থেকে বেরিয়ে আসেন। ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে যায়। ফিল্ডার জস বাটলার বল তুলে দেন রেহানের হাতে। তিনি উইকেট ভাঙলে মাথা নিচু করে মাঠ ছাড়তে হয় শান্তকে। তাকে ৭১ বলে থামে তার ৫৩ রানের ইনিংস।
আউট হওয়ার আগ পর্যন্ত স্বাচ্ছন্দ্যেই ব্যাট করছিলেন শান্ত। সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ বাদ দিয়ে বাকি দুই ম্যাচেই ফর্মে ছিলেন তিনি। প্রথম ম্যাচে তার ব্যাট থেকে এসেছিল ৫৮ রান। এদিকে শান্ত রান আউট হয়ে ফিরে যাওয়ার দুই বল পর ফিফটি পেয়েছেন মুশফিক। ওয়ানডেতে এটি তার ৪৩তম ফিফটি।
শেষ পর্যন্ত মুশফিকের ইনিংস থামে দলীয় ১৫৩ রানে। ৯৩ বলে ৬ চারের মারে ৭০ রান করে আদিল রশিদের বলে বোল্ড হন তিনি। এই স্পিনারের বলে বোল্ড হয়ে মাঠ ছাড়েন ৯ বলে ৮ রান করা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও। এরপর সাকিব আল হাসান একাই দলের পক্ষে লড়াই করেন। বাকিদের ব্যর্থতার দিনে সাকিব সর্বোচ্চ ৭৫ রান করে বিদায় নেন। ৭১ বলে ৭ বাউন্ডারিতে এ রান করেন তিনি। আফিফ ১৫, মিরাজ ৫,তাইজুল ৩ করে বিদায় নেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন